বোয়ালখালীর সড়কগুলো যেন মাটির তৈরি। উপজেলার অধিকাংশ সড়কে পড়ে আছে কাদামাটি। মাটির জন্য দেখা যাচ্ছে না সড়কের বিটুমিনও। মাটি ব্যবসায়ীরা এক জায়গা থেকে মাটি কেটে অন্যত্র ভরাট করতে উপজেলার সড়কগুলো দিয়ে সেগুলো সরবরাহ করে। এ সময় গাড়ি থেকে মাটি পড়ে সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টি হওয়াতে মাটিগুলো পিচ্ছিল হয়ে আছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চালকরা।
মোটরসাইকেল চালক মো. দিদার বলেন, কানুনগোপাড়ার সড়কটি যেন মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। কালো বিটুমিনও দেখা যাচ্ছে না। সামনে বৃষ্টির মৌসুম। বৃষ্টি পড়লে পুরো সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাবে। এতে মোটরসাইকেল চালকরা বেশি দুর্ঘটনার শিকার হবে। আরেক মোটরসাইকেল চালক মো. ইমাম হোসেন বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেলে চলাফেরা করি। সড়কে বৃষ্টি পড়া মানেই দুর্ঘটনা শুরু হওয়া। মাটি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে চলে যাবে, আমাদের জন্য দুর্ঘটনা রেখে যাবে।
সিএনজি টেক্সির চালক মো. কাশেম বলেন, বোয়ালখালী উপজেলার প্রায় সড়কেই মাটি পড়ে আছে। যে সড়কেই যাই না কেন মাটি দেখা যায়। মঙ্গলবাল সকালে বৃষ্টি পড়ে অধিকাংশ সড়ক পিচ্ছিল হয়ে গেছে। ভালো করে গাড়ি চালাতে পারি না। অন্যান্য চালক ও যাত্রীরা বলেন, সড়ক পিচ্ছিল হওয়াতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করছি। বিভিন্ন সড়কের পাশে পুকুর আছে। পিচ্ছিল হয়ে গাড়ি পুকুরে পড়ে গেলে গাড়ির সব যাত্রীরা সেখানেই মারা যাবে। প্রশাসন কি এসব দেখে না, নাকি দেখেও না দেখার ভান করে আছে? স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র–ছাত্রীরা জানান, বৃষ্টি পড়াতে সড়কগুলো দুর্ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। হেঁটে যাওয়ারও সুযোগ নেই। গায়ে কাদামাটি পড়ে কাপড়সহ নষ্ট হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ্ বলেন, ইতোমধ্যে আমি এসিল্যান্ডের সাথে আলোচনা করেছি। মাটির গাড়িগুলোর বিষয়ে শীঘ্রই অভিযানে নামবে। সড়কে মাটি পড়ে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে কথা বলবো। তারা যদি সমাধান না করে আমরা আমাদের দিক থেকে যতটুকু পারি সেটা সমাধান করার চেষ্টা করবো।