কর্ণফুলী থানাধীন বৈরাগ ইউনিয়নে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে কারিগরকে মারধর ও পরে স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও দোকানের চায়ের ক্যাথলিতে থাকা গরম পানি নিক্ষেপ করে ঝলসে দেওয়া মামলায় মো. এমানুর রশিদ (৩৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর কর্ণফুলী থানাধীন বৈরাগ ইউনিয়নের (৬ নম্বর ওয়ার্ড) কেইপিজেড ২ নম্বর গেট সংলগ্ন ঘটনাস্থলের চায়ের দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, এক বছর পূর্বে গ্রেপ্তার রশিদের চায়ের দোকানে কারিগর হিসেবে চাকরি করতো মামলার বাদী মো. মিন্টু। পরে বনিবনা না হওয়ায় রশিদের দোকানের চাকরি ছেড়ে দেয় সে। মিন্টুর দাবি সে রশিদের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পাবেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়াঝাটি হয়। গত ২ মাস যাবৎ রশিদের চায়ের দোকানের পাশে জনৈক মারুফের দোকানে চাকরি শুরু করে মিন্টু। গত ১৫ জুলাই বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে দুজনের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। মিন্টু প্রতিবাদ করলে রশিদ এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করেন। মিন্টুকে মারধরের খবর শুনে তার স্ত্রী সাকি আক্তার (২৫) রশিদের দোকানে গেলে রশিদ ক্ষিপ্ত হয়ে চায়ের দোকানে ক্যাথলিতে থাকা গরম পানি তার দিকে নিক্ষেপ করে । এতে ভিকটিমের হাত–মুখ ও গলা ঝলসে যায়। এ ঘটনার পর মিন্টু গত ১৬ জুলাই দোকানদার রশিদকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলায় বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মিজানুর রহমান অভিযান চালিয়ে রশিদকে গ্রেপ্তার করেন। কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার রশিদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।