পাইরেট্‌সের কাছে হেরে ছন্দপতন আবাহনীর

টানা ২৮ ম্যাচ জয়ের পর প্রথম হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ২১ এপ্রিল, ২০২৪ at ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে পাইরেট্‌্‌স অব চিটাগাং এর কাছে হেরে ছন্দপতন ঘটেছে শিরোপা প্রত্যাশি চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীর। ঈদ উপলক্ষে দীর্ঘবিরতির পর গতকাল শনিবার শুরু হওয়া প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ৭ম রাউন্ডের খেলায় পাইরেট্‌্‌স ৬৪ রানে হারিয়ে দেয় আবাহনীকে। এ হারে আবাহনীর পয়েন্ট দাঁড়ালো ৭ খেলায় ১৮। পাইরেটসের পয়েন্ট সমান খেলায় ১২। দীর্ঘ তিন বছরে আবাহনী ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ২৯তম ম্যাচে এসে প্রথম পরাজিত হলো। এর আগের দু’বছর ২২ ম্যাচে তারা অপরাজিত থেকে শিরোপা জিতেছিল। এবছরও তারা টানা ছয় ম্যাচ জিতেছে। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম পরাজয় দেখলো আবাহনী। শুরু থেকে ছন্দ পাওয়া আবাহনীর এ ছন্দ পতনকে অনেকে দীর্ঘবিরতির পর খেলতে নামাকেই কারণ বলে ভাবছেন। আবার অনেকে তাদের ব্যাটিং অর্ডারের ধারাবাহিকতাকে দুষছেন। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গতকালের এ খেলায় টসে জিতে পাইরেট্‌্‌স প্রথমে ব্যাট করতে নামে। নির্ধারিত ওভারের ২ বল বাকি থাকতে তারা ২৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের শক্তি বৃদ্ধির জন্য এদিন জাতীয় ক্রিকেটার শুভাগত হোমকে দলে ভেড়ায় পাইরেট্‌্‌স। শুরুতেই পাইরেট্‌্‌স ওপেনার রাকিব ইসলাম রান আউটের শিকার হলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাওসিফ এবং সাদ্দাম হোসেন ৮৯ রানের জুটি বাঁধেন। সাদ্দাম ৪৫ বলে ৩৮ রান করে শোয়াইবের বলে বোল্ড হয়ে যান। শাহাদাত এসে সুবিধা করতে পারেননি। ২ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকে। তবে বেশিক্ষণ আর টিকতে পারেননি ওপেনার তাওসিফও। দলীয় ১২৩ রানে হাসনাতের বলে বোল্ড হন তিনি। ৭২ বল খেলে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৬৯ রান করেন তাওসিফ। এরপর ওমর হাসান এবং শুভাগত হোমের ৫ম উইকেট জুটি দলকে ৬৮ রান এনে দেয়। শুভাগত ৪৩ বল খেলে ৪৫ রান করে তাজুলের বলে তারই হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। ৬টি চার মারেন তিনি তার ইনিংসে। ওমরের সাথে এরপর যোগ দেন অধিনায়ক মো. রুবেল। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এ জুটি। দলীয় ২১৯ রানের মাথায় রুবেল রান আউট হয়ে যান ১৯ বলে ২৪ রান করে। ১টি চার এবং ২টি ছয় মারেন তিনি। ওমরকে এরপরের ব্যাটাররা খুব বেশি সহযোগিতা করতে পারেননি। ওমর আউট হওয়ার সাথে সাথে পাইরেটসের ইনিংসেরও যবনিকা ঘটে। অর্ধশতক হাঁকানো ওমর হাসান সৈকতের বলে আউট হয়ে ফেরেন। ওমর ৮০ বল খেলে ৫৩ রান করেন। ৪টি চার এবং ১টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। আবাহনীর পক্ষে আবু বক্কর জীবন ৩৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান আবুল হাসনাত,শোয়াইব চৌধুরী,তাজুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং মোহাম্মদ হান্নান। ২৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম আবাহনীর টপ এবং মিডল অর্ডার মোটেই সুবিধা করতে পারেনি। পাইরেটসের সাজিদ, শাহাদাত, বেলাল রুবেলের বোলিং তাদের স্বস্তি দেয়নি। শুরুতেই মাত্র ৭ রানে দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে আবাহনী। দলের দুই ওপেনার তাজুল ৪ এবং সাইদুল ০ সাজিদের বলে আউট হয়ে ফেরত যান। এরপর খুব বড় জুটি গড়তে পারেনি আবাহনী। ছোট ছোট জুটি গড়ে দলীয় ৭০ রানে ৬টি উইকেট হারায় তারা। শোয়াইব চৌধুরী ২০, মো. হান্নান ২৪ এবং জাহিদ জাভেদ ২২ রান করেন এ সময়। দলের পক্ষে খেলতে আসা জাতীয় ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নামানো হয় আট নম্বরে। তিনি ৩৪ বলে ৩২ রান করে বেলালের বলে আউট হন। এ সময় দলের রান সংখ্যা ছিল ১২৬ রান। আবু বক্কর জীবন ১৪ বল খেলে ২০ রান করে সেই বেলালের হাতেই আউট হন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ১০ নম্বরে খেলতে নামা ব্যাটার মহিউদ্দিন। ৩৮ বল খেলে তিনি ৩৫ রান করলে দলের রানসংখ্যা ১৮৩ তে উন্নীত হয়। মহিউদ্দিনের আউটের পরেই থেমে যায় আবাহনীর ইনিংস। পাইরেটস্‌্ে‌র পক্ষে শাহাদাত হোসেন ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেটের পতন ঘটান। ২টি করে উইকেট নেন সাজিদ আবদুল্লাহ,মো. বেলাল এবং মো. রুবেল। ১টি উইকেট পান শুভাগত হোম।

আজকের খেলা: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি বনাম রাইজিং স্টার ক্লাব। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এ খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের স্টেডিয়াম পরিদর্শন
পরবর্তী নিবন্ধঅভিযান শেষে ফেরার পথে রাশিয়ার বোমারু বিমান বিধ্বস্ত