পাইকারিতে কমল দেশি পেঁয়াজের দাম

কেজিতে কমেছে ১০ টাকা

জাহেদুল কবির | বুধবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

পাইকারিতে গত দুদিনের ব্যবধানে দেশীয় জাতের পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী মাসের শুরুর দিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হতে পারেএমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়ায় দেশীয় পেঁয়াজের দামে প্রভাব পড়েছে। গুণগত মানের দিক থেকে দেশীয় পেঁয়াজের তুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজ উন্নত। ক্রেতাদের কাছে এই পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে। হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে দেশীয় পেঁয়াজের ব্যাপক দরপতন হতে পারে। মূলত এই আশঙ্কায় অনেকে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন।

গতকাল চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। দুদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। এছাড়া কোনো কোনো ব্যবসায়ীর কাছে এখনো ভারতীয় পেঁয়াজের মজুদ রয়েছে। সেসব পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজেকলমে আমদানি না হলেও বাজারে বিক্রি হওয়া এসব ভারত পেঁয়াজ চোরাইপথে আসছে।

চাক্তাইখাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, সরবরাহের ওপর ভিত্তি পেঁয়াজের বাজার ওঠানামা করে। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তবে এখন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তাই বাজারও একটু কমছে।

কাজীর দেউড়ির খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারিতে দেশীয় পেঁয়াজের দরপতন হলেও এখনো খুচরায় কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। পাইকারির সাথে পার্থক্য প্রায় ২০ টাকা।

চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, বাজারে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতে পারেএমন একটি সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া দেশীয় আরেকটি নতুন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে পারে। সেটি আসতে আরো এক মাস সময় লাগবে। তবে এটি ঠিক, ভারতীয় পেঁয়াজের আলাদা চাহিদা রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হলে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমবে।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে। তবে ক্রেতাও কম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজকাঁকড়ার যে সম্ভাবনার কথা বললেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ
পরবর্তী নিবন্ধনীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড কেন অবৈধ নয়