নগরীর পাঁচলাইশে পাঁচ বছর আগে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় হযরত আলী ইয়াসিন (৩৮) নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল। এ অর্থদন্ড অনাদায়ে আসামিকে আরও তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
গতকাল নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭’র বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ ২০১৬ সালের মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামির এ সাজার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত করতে সক্ষম হয়েছে বলে আজাদীকে জানান ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মো. খন্দকার আরিফুল আলম।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামি গ্রেপ্তার হয়েছিল। পরবর্তীতে জামিনে গিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান খন্দকার আরিফুল আলম।
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর ভিকটিমকে বাসায় একা পেয়ে প্রতিবেশী হযরত আলী তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ঘটনার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভিকটিমকে হুমকি দেয়। ভিকটিমও ভয়ে যথারীতি বিষয়টি গোপন রাখে। পরে ভিকটিমের ব্যাথা অনুভব হলে তা মায়ের নজরে আসে। পরে শিশুটি তার মাকে বিস্তারিত খুলে বলে।
ওই বছর ২৪ অক্টোবর হযরত আলীকে আসামি করে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালে ২৩ নভেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০ এর ৯ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট দাখিল করেন। পুলিশ অভিযোগপত্রে বাদী, ভিকটিম ও ডাক্তারসহ মোট ৯ জনকে সাক্ষী করেন।
২০১৭ সালে ২৮ ফেভ্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলাটির বিচার শুরু করা হয়। এ সময় ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়ার পাশাপাশি আদালতে ভিকটিমের জবানবন্দি নেয়া হয়।
অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম জানান, ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষ মোট পাঁচজন সাক্ষীকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। ভিকটিমের বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক এবং মা গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করেন।