শীতল যুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বড় পূর্ব–পশ্চিম বন্দী বিনিময়ে মার্কিন সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচ এবং বার্লিনে এক হত্যাকান্ডের জন্য কারাগারে বন্দী একজন রুশ গোয়েন্দা কর্নেলসহ দুই ডজন বন্দী বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে। খবর বাসসের।
কয়েক মাসের গোপন আলোচনার পর একটি জটিল বহুজাতিক চুক্তির মাধ্যমে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক এবং প্রাক্তন মার্কিন মেরিন পল হুইলান সহ অন্যদের মুক্তি দেয়া হয়। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বিমানবন্দর টারমাকে একটি নাটকীয় বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে উপস্থিত হয়েছেন। বাইডেন বলেছেন, তারা ওভাল অফিস থেকে তাদের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রিয়জনকে ফোন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তাদের নৃশংস অগ্নিপরীক্ষা শেষ হয়েছে।’ চুক্তির অধীনে রাশিয়ান বন্দীদের মুক্ত করতে সম্মত করার জন্য বাইডেন মিত্র জার্মানি, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া এবং নরওয়ের নেতাদেরকে এবং বন্দীদের হস্তান্তরের আয়োজনে সম্মত হওয়ার জন্য তুরস্ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পশ্চিমা ও রুশ ভিন্নমতাবলম্বী এবং মানবাধিকার কর্মীদের বিনিময়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য আটক রাশিয়ানদের মুক্তি দেওয়ার জন্য ‘তারা সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে’। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই শিশুসহ মোট ১০ জন রাশিয়ান এবং রাশিয়ায় বন্দী ১৬ জন পশ্চিমা এবং ভিন্নমতাবলম্বী রাশিয়ানদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। মস্কোতে ফিরে আসা বন্দীদের মধ্যে ছিলেন একজন রাশিয়ান গোয়েন্দা এজেন্ট ভাদিম ক্রাসিকভ, যিনি জার্মানিতে একজন প্রাক্তন চেচেন বিদ্রোহী কমান্ডারকে নির্লজ্জভাবে হত্যার জন্য বন্দী ছিলেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, ‘কঠিন’ বন্দী বিনিময় ‘জীবন বাঁচিয়েছে’।