ট্যাকটিকাল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুশীলনসহ একটি সামরিক মহড়া চালাবে রাশিয়া। পশ্চিমা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে উস্কানিমূলক হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানায়, সামরিক মহড়াটি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মহড়ার মধ্য দিয়ে যুদ্ধাভিযানে লড়তে এমন নন–স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক শক্তির প্রস্তুতি পরীক্ষা করে দেখা হবে। তাছাড়া, নন–স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন ও ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হবে সামরিক মহড়ায়। খবর বিডিনিউজের।
ক্ষেপণাস্ত্র গঠন বিষয়ক সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট ও নৌবাহিনী এতে অংশ নেবে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়ার সময় প্রস্তুতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কয়েকদফা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ট্যাকটিক্যাল বা সুনির্দিষ্ট কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র’কে নন–স্ট্র্যাটেজিক অস্ত্রও বলা হয়, যা স্ট্র্যাটেজিক অস্ত্র বা কৌশলগত অস্ত্র থেকে আলাদা। ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র অপেক্ষাকৃত কম ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এর পাল্লাও হয় কম। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার মতো সব ধরনের উপায়ই তার হাতে রয়েছে বলে পারমাণবিক বোমার দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে পরাজয় এড়াতে পারমাণবিক বোমার আশ্রয় নিলে এ যুদ্ধ আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে তীব্র ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে রূপ নেবে, যাতে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, রাশিয়া ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার উস্কানি এবং হুমকিমূলক বিবৃতির জবাবে ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য হল– রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা। পশ্চিমা কর্মকর্তাদের নাম রাশিয়া উল্লেখ করেনি। তবে রাশিয়া বরাবরই বলে এসেছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধে ফ্রান্সের হস্ত ক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ যে মন্তব্য করেছেন, তা চরম বিপজ্জনক।