চট্টগ্রামের খেলার মাঠ গুলোকে খেলাধুলার কাজে ব্যবহারের যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক তারই ধারাবাহিকতায় এবার রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠেও গড়াচ্ছে খেলাধুলা। দীর্ঘ দিন ধরে এই মাঠে খেলাধুলা হয়না। কেবলই মেলা আর মেলা চলে। তবে জেলা প্রশাসক এই মাঠটিকে খেলাধুলার কাজে ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের চট্টগ্রাম মহানগরী পর্বের খেলা সমুহ এই মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে। এই মাঠটি এক সময় মুখর থাকতো ক্রীড়াবিদদের পদভারে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে এটি আর খেলাধুলার উপযোগী নেই। বছরে রেলওয়ের একটি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়। তবে সাবেক একাধিক ক্রীড়াবিদ বলেছেন এই মাঠে প্রতিদিন অন্তত ৮/১০টি দল অনুশীলন করতো। কিন্তু গত প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় সে সুযোগটাও হারিয়েছে দল গুলো। তবে এবারে এই মাঠটিকে আবার খেলাধুলার উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন। মাঠটিকে ফুটবল এবং ক্রিকেটের জন্য উপযোগী মাঠের চার পাশে অ্যাথলেটিঙ ট্র্যাক করারও চিন্তা করছে জেলা প্রশাসন। যেহেতু মাঠটি বাংলাদেশ রেলওয়ের সেহেতু তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে এই মাঠে আবার খেলাধুলা ফেরাতে চান জেলা প্রশাসন। তবে সে কাজটা কতটা সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে। কারন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই মাঠের কর্তৃত্ব ছাড়বে কিনা সেটাও একটি বড় প্রশ্ন। যদিও প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধু আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের জণ্য তিনদিন রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। এই প্রতিযোগিতার মহানগরী পর্বে অংশ নিচ্ছে নগরীর চারটি কলেজ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় মহানগরী পর্বে অংশ নেওয়া চারটি কলেজ হচ্ছে চট্টগ্রাম কলেজ, হাজি মোহাম্মদ মহসিন কলেজ, সরকারী সিটি কলেজ এবং চট্টগ্রাম সরকারী বাণিজ্য কলেজ। উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি হবে সরকারী হাজি মোহাম্মদ মহসিন কলেজ এবং সরাকরী সিটি কলেজ। নক আউট পদ্ধতিতে এই চারদল খেলবে। পরে আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে মহানগরী পর্বের ফাইনাল। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ১৫টি দল এবং মহানগরী পর্বের একটি দল মিলিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্টের মুল পর্ব বা জেলা পর্যায়ের পর্ব। তবে মুল পর্বের খেলা সমুহ কোথায় হবে তা ঠিক হয়নি এখনো। এদিকে গতকাল পলোগ্রাউন্ড মাঠে গিয়ে দেখা গেছে মাঠের একটি অংশ কোনমতে এই টুর্নামেন্টের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যদিও সেটাও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি। এ ধরনের মাঠে খেলোয়াড়দের ইনজুরির ঝুকি থেকে যায়। এখন সে ঝুকি এড়িয়ে কতটা সফল হবে পলোগ্রাউন্ড মাঠের এই আয়োজন সেটা সময়ই বলে দেবে। এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেল পথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এম পি।