পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস

| শনিবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পর্যটন খাতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ। এই শিল্পের যথাযথ বিকাশ নিশ্চিতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এ শিল্পের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আমি আশা করি, পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি পরিবেশগত অবক্ষয় রোধে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল অবদান রাখবেন। খবর বাসসের।

আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষ্যে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস২০২৫’ উদযাাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পর্যটন বর্তমানে বিশ্বজুড়ে টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটন শিল্পের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশের ফলে একদিকে আমাদের পর্যটন অঞ্চলগুলোর সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে, অন্যদিকে স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণেও সচেতনতা বাড়ছে। এ প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থা ঘোষিত দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্যটেকসই উন্নয়নে পর্যটন যথার্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্থাপত্য নিদর্শন, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং অকৃত্রিম আতিথেয়তা যেকোনো দেশিবিদেশি পর্যটককে আকর্ষণ করতে পারে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পর্যটনের এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সচেষ্ট রয়েছে।

তিনি বলেন, পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চলগুলোর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, স্থানীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সম্পদের সঠিক ব্যবহার, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সমপ্রসারণ, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপর্যটনে কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্ভাবনার হাতছানি
পরবর্তী নিবন্ধউচ্চারকের বর্ণাঢ্য শিশু আবৃত্তি উৎসব শুরু