পরৈকোড়া ইউনিয়নে উপনির্বাচন আজ

সংঘাতের ঘটনায় ৪ মামলা, আসামি ২ শতাধিক

আনোয়ারা প্রতিনিধি | বুধবার , ১৫ জুন, ২০২২ at ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনার মধ্যদিয়ে চেয়ারম্যান পদে আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপনির্বাচনকে ঘিরে গত সোমবারের মারামারি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আনোয়ারা থানায় গতকাল পৃথক ৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২ শতাধিক লোককে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
বর্তমানে পুরো ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে গ্রেপ্তার আতংক বিরাজ করছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমদ জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরৈকোড়া ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মামুনুর রশীদ চৌধুরী আশরাফ। গত ৫ মার্চ তিনি মারা গেলে নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করে। ৭ম ধাপে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী বাবুলের বিপরীতে ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থী পরৈকোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আলী চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীন সুজন, হাসান জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, মো. নাজিম ও আব্দুল মালেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা পাল্টা হামলার অভিযোগ আনেন। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে সংশয় রয়েছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী বাবুলের অভিযোগ, ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থী একজোট হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী চৌধুরী অভিযোগ করেন, গত এক সপ্তাহ ধরে নির্বাচনী প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অনুসারীরা আমার কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলা, হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।
পরৈকোড়া ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
ইউএনও শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের লক্ষ্যে একজন নির্বাহী ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য, বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে নূরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
পরবর্তী নিবন্ধঅর্ধশত কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ