পরিবেশ দূষিত হওয়ার মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বায়ু, পানি ও শব্দদূষণ যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে জীববৈচিত্র্যের ওপর। জলবারু পরিবর্তনে বিভিন্ন প্রাণীর জটিল ও কঠিন রোগ দেখা দিচ্ছে। পরিবেশের ওপর জলবায়ুর প্রভাবের জন্য ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াজনিত এবং খাদ্যাভাবজনিত রোগসহ নানা জটিল ও অপরিচিত রোগ হয়ে থাকে। আমরা জানি, পরিবেশ ও জীবন একে অপরের পরিপূরক। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে অব্যাহত থাকে জীবনচক্র। গত এক যুগে দূষণ ও পরিবেশের বিচারে বাংলাদেশ পিছিয়েছে। খাবার, পানি আর বায়ু ছাড়া জীবজগতের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। ফলে নির্মল বায়ুসেবন প্রতিমুহূর্তের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অথচ আমাদের চারপাশের পরিবেশের এই বিপর্যয়ের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে বায়ুদূষণ। এর ভরাবহতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে ১৯৯৫ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন পাস হয়েছে। বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে যে বহু বন্যপ্রাণীর প্রজাতি হুমকির মুখে পড়েছে, সেটি এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। নিজেকে ও পরিবেশকে বাঁচাতে আমাদের সবাইকেই পরিবেশ রক্ষা করে চলতে হবে। তাই আসুন, আমরা পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ নিই। পরিবেশ রক্ষার সচেতন হই। সরকারকেও বলব, পরিবেশ রক্ষায় আরও সতর্ক হোন। পরিবেশ রক্ষার পরিবেশ সংরক্ষণ আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করুন। কারণ পরিবেশ বাঁচলে, বাঁচবে বাংলাদেশ।
জেসমিন আক্তার
শিক্ষার্থী, জয়নাল হাজারী কলেজ,
ফেনী