ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, বিরোধী দল বিএনপির সভা-সমাবেশে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সরকার সৃষ্টি করে না, বরং সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকে। এখন, বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে খুলনার পরিবহন মালিকরা যদি ধর্মঘট ডেকে বসে, সেখানে সরকারের কী করার আছে, সেই প্রশ্ন তিনি রেখেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে সরকারের অবস্থান তিনি তার ভাষায় তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, খুলনার সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে বাস ধর্মঘটের যে কথা বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সেখানেও সরকার বা আওয়ামী লীগ কোনো হস্তক্ষেপ করেনি, করবেও না। ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন মালিক শ্রমিক, তারা যদি তাদের পরিবহন ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার অভাব বোধ করে, তাহলে সরকার বা আওয়ামী লীগের কী করার আছে? খবর বিডিনিউজের।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নেতাকর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনায় বিভাগীয় শহরগুলোতে ডাকা গণসমাবেশের অংশ হিসেবে শনিবার খুলনায় বিএনপির কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যেই খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন শুক্র ও শনিবার আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ময়মনসিংহেও একই ঘটনা ঘটেছিল।
এর পেছনে সরকারকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সমাবেশে যাতে গণজমায়েত না হয় সে জন্যই সরকার বাস মালিকদের দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করিয়েছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা মনগড়া বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে তাদের সমাবেশের প্রতিপক্ষ বানানোর অপচেষ্টা করছে। সরকার বিএনপির সমাবেশে বাধাতো দেইনি বরং প্রশাসনিক সহযোগিতা দিচ্ছে।
কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ কর্মসূচির সূচনা করে বিএনপি। সে প্রসঙ্গ ধরে কাদের বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কোন বাধা কি ছিল? পরিবহন ধর্মঘটও তো হয়নি, তাহলে চট্টগ্রামে তাদের জনসভাস্থল পূর্ণ হয়নি কেন? বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের সমাবেশে লোকসমাগম হলে তারা (বিএনপি) বলে সরকার ব্যর্থ, আবার লোকসমাগম না হলে বলে সরকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ কখনো বিএনপির সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি, করবেও না।
বিএনপি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক আগেই ‘ধ্বংস করতে চেয়েছিল’ মন্তব্য করে কাদের বলেন, এক কোটি তেইশ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি এবং এম এ আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো বিএনপি। আর সেই পরিস্থিতিতে ১/১১ তে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়।