পবিত্র শবে মেরাজ পালিত

মহামারি থেকে মুক্তি কামনা

আজাদী ডেস্ক | শুক্রবার , ১২ মার্চ, ২০২১ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আজকার, নফল নামাজ ও মিলাদ-কিয়ামের মধ্য দিয়ে গতকাল রাতে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হয়েছে। এতে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ মুনাজাত করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর মেরাজে গমনের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মসজিদ ও খানকায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাতকে আমাদের দেশে সাধারণত শবে মেরাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বছরের (৬২০ খ্রিস্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে হযরত জিবরাইল (আ.) এর সঙ্গে বোরাকে চড়ে পবিত্র কাবা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তম আকাশের ওপর আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার লাভ করেন। এই ঘটনাকে স্মরণ করে মুসলিমরা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি উদযাপন করেন। ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এ মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এ রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলিমদের জন্য নিয়ে আসেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)।
আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি। আর ফার্সি ভাষায় এর অর্থ ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ। পবিত্র কুরআনে মক্কা মোয়াজ্জমা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণকে পবিত্র ‘ইসরা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। পবিত্র হাদিসে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত উপনীত হওয়া ও আরশে আজিমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের মহিমান্বিত ঘটনাকে ‘মিরাজ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মেরাজে মহানবী (দ.) সৃষ্টিজগতের সবকিছুর রহস্য অবলোকন করেন এবং উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে ফিরে পৃথিবীতে আসেন। অন্য কোনো নবী এমন সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি ইসরায়েলপন্থী —হাসান মাহমুদ
পরবর্তী নিবন্ধবিশেষজ্ঞ চক্ষু সেবা প্রতিটি উপজেলায় পৌঁছে দেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী