গুনাহ মাফ ও অধিক সওয়াবের আশায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত জেগে নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির–আজকারের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে কদর পালন করেছেন ধর্মপ্রাণ চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মুসলমানরা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার বেশির ভাগ মানুষ মসজিদে ইবাদত–বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন। শবে কদর সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম। এ রাতেই মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল–কোরআন নাজিল হয়। শবে কদরের রাতকে কেন্দ্র করে পবিত্র কোরআনে ‘আল–কদর’ নামে একটি সুরা অবতীর্ণ হয়। গতকাল নগরীর মসজিদগুলোর ছাদে ও বারান্দায় শামিয়ানা টাঙিয়ে বাড়তি মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য জায়গা করে দিতে দেখা গেছে। বড় বড় মসজিদ–মাজারগুলোর আশপাশে বসেছিল আতর, টুপি, সুরমা, জায়নামাজ, তসবিহ, ধর্মীয় বই–পুস্তক বিক্রির দোকান। নগরের লালদীঘিতে শাহসুফি হজরত আমানত খান শাহের (র.) দরগা মসজিদে ছিল উপচে পড়া ভিড়। নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, আলোচনা, মিলাদ, জেয়ারত, জিকিরে মশগুল ছিল মুসল্লিরা। এছাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ, মেহেদীবাগ সিডিএ জামে মসজিদ, চন্দনপুরা জামে মসজিদ, চকবাজার অলিখাঁ জামে মসজিদসহ প্রধান প্রধান মসজিদগুলোতে তারাবি নামাজের পর শবে কদরের তাৎপর্য ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া নগরীর যে সব মসজিদে খতমে তারাবি হচ্ছে গত রাতেই সেই সব মসজিদে খতমে তারাবি শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষে মসজিদগুলোতে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিওগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করে।