বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া কামনা ও ইবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুল কদর। গতকাল ২৬ রমজান দিবাগত রাতে সারাদেশে নফল ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মসজিদে মসজিদে খতমে তারাবির পর জামাতে শবে কদরের নামাজ আদায় করা হয়। তাছাড়া নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আসকারের মধ্যদিয়ে রাতটি পালন করেন মুসলমানরা। নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ, সিডিএ জামে মসজিদসহ সব মসজিদে রাতভর চলে ইবাদত বন্দেগী। মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাতে করোনামুক্তির জন্য দোয়া কামনা করা হয়। নিজেদের গুনাহ মাফ, বরকত কামনাসহ দেশ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনায় চোখের পানি ফেলেছেন মোমিন বান্দারা।
গত বছর মসজিদে খতমে তারাবি আদায় করতে না পারলেও এবার স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনার মধ্যেও প্রায় মসজিদে খতম তারাবির আয়োজন হয়েছে। অনেক স্থানে মসজিদ বাদেও ঘরে ঘরে মুসলমানরা তারাবি ছাড়াও, তাহাজ্জুদ ও লাইলাতুল কদরের নামাজ আদায় করেন। রমজানে অনেকেই পুরো কোরআন শরীফ পড়ে থাকেন, সে হিসেবে অনেকের খতম শেষ হয়েছে গতকাল। এ রাতে কোরআনুল করিম অবতীর্ণ হয়েছিল বলে মুসলমানদের কাছে এ রাতটির গুরুত্ব অত্যধিক। মধ্যরাতে সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজের শেষ পর্যন্ত ইবাদতের এ ধারাবাহিকতা থাকে। পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। মুসলমানদের কাছে শবে কদর অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে সওয়াব হাসিল ও গুনাহ মাফের রাত হিসেবে শবে কদরের ফজিলত অতুলনীয়। এই রাত হাজার রাতের চেয়েও পুণ্যময় রাত। হাদিস শরিফে আছে, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত কদর হতে পারে। তবে, ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। শবে কদরের এ রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআন শরীফে ‘আল-কদর’ নামে একটি সূরাও নাজিল হয়।