পদুয়ায় সন্ত্রাস বিরোধী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

আসামি ধরিয়ে দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সারাশিয়া গ্রামে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা নজিরবিহীন লুটপাট, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হামলাসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার বিকেলে এর প্রতিবাদে ভিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। সমাবেশ থেকে সন্ত্রাসী রুবেল, শাহেদসহ চিহ্নিত অন্যান্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি সারাশিয়া গ্রাম থেকে শুরু করে হরিহর স্কুল মাঠ প্রদক্ষিণ করে রাজারহাট বাজারে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য মো. হোসেন, ভুক্তভোগী প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় শাহজাহান আলম, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ ইমরান, মো. আবুল ও মো. আমিন।

প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসীর ঘর লুটপাট চালানো হয়। এমনকি পরিবারের সদস্যদের গতিবিধির ভিডিওচিত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মোটা অংকের চাদা দাবি করা হয়। সারাশিয়া গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের বসতঘরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রবাসীর মা মরতুজা বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দেন। মামলায় একই ইউনিয়নের হারুয়ালছড়ি গ্রামের রফুর ছেলে রুবেল (৩০), ইদ্রিসের ছেলে সাহেদ (২২), সারাশিয়া গ্রামের রেজাউলের ছেলে সুমন (২৫) এবং হানিফের স্ত্রী জুলেখা এই চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪৫ জনকে বিবাদি করা হয়। এরমধ্যে সুমন, জুলেখা ও রফিক নামে তিনজন গ্রেপ্তার হয়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মামলা দায়েরের পর থেকে সন্ত্রাসী চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে নানা হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ১৩ তারিখ রাতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মহিউদ্দিনকে লোহার রড দিয়ে মেরে গুরুতর যখম করেছে। এভাবে শুধু এই প্রবাসী পরিবার নয়, গ্রামের আরও অনেকেই তাদের বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে। যখন যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের ছত্রছায়া নিয়ে তারা এমন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারণ। এছাড়া আসামিদের ধরিয়ে দিতে পারলে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন ভুক্তভোগীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বন্দরে পরিবর্তনের সুফল
পরবর্তী নিবন্ধরিটার্ন জমা ৩৭ লাখের বেশি, সময় আর বাড়ছে না : এনবিআর চেয়ারম্যান