বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ১১ বছর পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর গতকাল বুধবার পদত্যাগপত্র জমা দেন দেশের সাবেক এই অধিনায়ক। সামপ্রতিক সময়ে বিসিবিতে নানা পালাবদলের ধারাবাহিকতায় খালেদ মাহমুদের এই সিদ্ধান্ত এলো। পদত্যাগের কারণ অবশ্য জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ অনুমান করতে পেরেই করণীয় বুঝে নিয়েছেন তিনি। সাবেক এই ক্রিকেটার উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, বিসিবির সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কাঠামোয় তাকে রাখা হবে না কিংবা রাখা হলেও কোনো কমিটির দায়িত্ব তাকে দেওয়া হবে না। ২০১৩ সালে বিসিবির প্রথম নির্বাচনে জিতে পরিচালক হয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ। সেবার তিনি ভোটের লড়াইয়ে হারিয়েছিলেন আরেক সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে। খালেদ মাহমুদ সবশেষ ছিলেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান। এছাড়াও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহ–সভাপতি ছিলেন তিনি। নানা সময়ে জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ ও ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। এছাড়াও ২০২১ সাল থেকে বিভিন্ন সিরিজ ও সফরে জাতীয় দলের ‘টিম ডিরেক্টর’ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সবশেষ এই দায়িত্ব পালন করেন গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে। এখনও পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সাফল্য মনে করা হয় যেটিকে, ২০২০ অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জয়ে গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে খালেদ মাহমুদের ভূমিকা ছিল প্রশংসিত। এ বছর যুব এশিয়া কাপেও প্রথমবার শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। তবে বোর্ড পরিচালক হয়েও বিপিএল ও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে কোচিং করানো, একাই অনেক দায়িত্ব পালন, এরকম স্বার্থের সংঘাতমূলক অনেক কারণে তুমুল সমালোচনার জন্মও দিয়েছেন তিনি অনেকবার। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ক্রিকেট আঙিনাতেও লেগেছে পরিবর্তনের ঝড়। আর তাতেই সরে যেতে বাধ্য হলেন মাহমুদ।