কানাডার ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো, যিনি টানা এক দশক ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী। অটোয়ায় গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। দলটির নতুন নেতা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই থাকবেন। আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত পার্লামেন্ট মূলতবির ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী নির্বাচনে সত্যিকারের পছন্দের কাউকেই চায় দেশ। ২০১৩ সালে এমন এক সময় ট্রুডো লিবারেল পার্টির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যখন দলটি গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত। সে সময় হাউস অফ কমন্সে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গিয়েছিল লিবারেল পার্টি। ট্রুডোর প্রস্থানে নতুন করে নেতৃত্ব সঙ্কটে পড়বে তার দল। আর সেটা এমন সময়ে ঘটবে, যখন আগামী অক্টোবরের নির্বাচনে রক্ষণশীলদের কাছে লিবারেলদের বাজেভাবে হারার পূর্বাভাস দিচ্ছে বিভিন্ন জনমত জরিপ। খবর বিডিনিউজের।
বিবিসি লিখেছে, নিজ দলের ভেতরে ও বাইরে পদত্যাগের চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন ৫৩ বছর বয়সী ট্রুডো। দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, তার পদত্যাগ সেই উত্তাপ কমিয়ে আনতে পারে।
ট্রুডো বলেন, তার নেতৃত্বের চারপাশে বিরোধ দূর করে উত্তাপ কমিয়ে আনার বিষয়টি তিনি ভেবেছেন। সেইসঙ্গে এমন সরকারের কথা তিনি ভাবেন, যেটি জটিল বিষয়গুলোর দিতে মনোযোগ দিবে। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে উত্তরসূরী হিসেবে কে আসছেন, সেই প্রশ্নও এখন সামনে আসছে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধান মার্ক কার্নি ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাক্তন প্রিমিয়ার ক্রিস্টি ক্লার্ক। ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণায় মার্ক কার্নি ও ক্রিস্টি ক্লার্ক এঙে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। দল ও দেশের নেতৃত্বের জন্য দুজনেই তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।












