জীবনের রং ফিকে হয়ে আসছে। বৈশ্বিক বিশ্বের সারিবদ্ধ মৃত্যুর মিছিলে শব্দরা হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে গেছে অনেক প্রিয় মুখ। কলম হাতে নিয়ে শব্দের মাতন কিংবা রঙের ক্যানভাসে তুলে আনতে পারছি না পরিশুদ্ধ সম্ভাবনা। আমার ভালোবাসা, আমার প্রেমের চঞ্চল মা মাটির লুকায়িত শিকড়ের আহবান, সেবা, কল্যাণ সবই থেমে গেছে অদেখা ব্যাধি, করোনা, ডেঙ্গুর নাভিশ্বাসে। আবার ঘুরেফিরে করোনা শ্বাস নিচ্ছে জনজীবনে। হায়রে! যখনই নিজের একান্ত কাছের মানুষটি আর কাছে থাকে না, পরপারে চলে যায়। বলুন, মনকে কীভাবে প্রবোধ দিই?
সংসার কার্যক্রম সাজাতে বউ, মেয়ে, ছেলে এদের বাজারে পাঠাতে সাহস মিলে না। ভয়ে ভয়ে নিজের পাজর ভাঙ্গি। ঘটন, অঘটন, রাস্তায় হানাহানি, নানা অস্থিরতা, মাদক, শিক্ষাঙ্গন বন্ধ ও নানা বিপর্যয়ে দেখা দেওয়াই শঙ্কা জাগে মনে। অললাইন পাঠ নিয়ে মিটে না মনের তৃপ্তি। তাই বলতে হয়, কেমন করে কাটিয়ে উঠবো এমন নির্জয় দুমুখো সমস্যা? নিমগ্ন হৃদয়ে ভাবি, এভাবে আর কতদিন? বিধাতা তোমার চরণে পড়িয়ে লুঠাই, ক্ষমা করো প্রভু………।
কবে পৃথিবীতে ভোরের শিশির নিয়ে হাসবো, খেলবো সামাজিক বন্ধনে রাঙাবো এইসব দিন রাত্রি। এখন আবার উঠকো চাপ, পরিবেশ দোষণের উত্তাপ। দূষণের চাপে, জ্বলছি, তাপমাত্রা সীমাহীনতা ছাড়িয়ে উদ্যম করে ছাড়ছে। জ্বলছে বাংলার পুরো মাঠ ঘাট ও ভূমি। শান্তির সুবাতাসও উধাও। বিধাতা তোমার করলে হাত বাড়ায়–আমাদের সুনির্দিষ্ট পথ দেখাও। আমরা বাংলা গড়তে চাই, প্রয়োজনীয় পথে হাঁটতে চাই। আকাশের নীল গগনে সুন্দর সতত হয়ে স্বদেশ কে দেখতে চাই। হে মহান, তুমি ঝামেলা মুক্ত, স্বস্তিতে থাকার পথ দেখাও।