পতেঙ্গা সৈকত হবে আন্তর্জাতিক মানের

সিডিএ চেয়ারম্যান ও ডিসিকে সাথে নিয়ে তীরবর্তী এলাকায় সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন করলেন মেয়র

| শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পতেঙ্গা সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য সৌন্দর্য বর্ধন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হওয়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে সহযোগী হবে সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এসময় এ দুই সংস্থা প্রধান সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, ডিসি ফরিদা খানম ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও সিডিএ বোর্ড মেম্বার জাহিদুল করিম কচি। জানা যায়, সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে এ দিন উচ্ছেদ করা হয়েছে ৩৩টি দোকান। নতুন করে দৃষ্টিনন্দন বাতি লাগানোর পাশাপাশি বাগান ব্লক নির্মাণ, বসার স্থানে নতুন রং, সবুজায়ন এবং পরিচ্ছন্নতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নগরের এই অন্যতম পর্যটন স্পটকে আরও আকর্ষণীয় করতে ও সুযোগসুবিধা বাড়াতে ইতোমধ্যে সৈকতের এক কিলোমিটার এলাকা সাজানো হয়েছে নতুন রূপে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, পতেঙ্গা সিবিচকে আন্তর্জাতিক মানের ট্যুরিস্ট স্পটে রূপান্তর করতে সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে। আমরা পুরো বিচ এলাকা পরিচ্ছন্ন, আলোকিত ও নিরাপদ করতে কাজ করছি। সৈকতের একাংশের সৌন্দর্য বর্ধন দিয়ে শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন স্পটে রূপ দেওয়া হবে। এই স্পটকে নতুন করে সাজাতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে।

মেয়র আরও বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি মূলত তিনটি সেক্টরের উপর নির্ভরশীল। চার নম্বর আরেকটি সেক্টরকে কিন্তু আমরা চট্টগ্রামের মাধ্যমে উঠিয়ে আনতে পারি। সেটা হচ্ছে পর্যটন খাত। যে পর্যটন খাত দিয়ে আমাদের আশেপাশের সার্কভুক্ত সবগুলো দেশ সমৃদ্ধশালী হয়ে গেছে। অথচ এই পর্যটন খাতটাকে আমরা সেভাবে বিকশিত করতে পারিনি। চট্টগ্রামকে ঘিরেই বাংলাদেশের পর্যটনখাত নির্ভরশীল। আমরা যদি চট্টগ্রামের পর্যটনখাতের বিকাশ ঘটাতে পারি তাহলে একদিকে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে; অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। দেশের অর্থনীতির চাকা তা সচল রাখতে চট্টগ্রামকে সুন্দর করতে হবে। এক্ষেত্রে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত খুলতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার।

অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রয়োজন মন্তব্য করে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পটাকে চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে। এখানে স্পেশাল ইকোনমিক জোন আছে, এখানে কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো আছে। এখানে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটা ব্যাপার আছে এবং ট্রেড সেন্টার আছে। ব্যবসায়িক হাব হিসেবেও চট্টগ্রাম অত্যন্ত পরিচিত। কাজেই সব মিলিয়ে ভৌগোলিক কারণে আজকে চট্টগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা জোনে আছে। সিটি গভর্মেন্ট না থাকায় আমাদের যে লিমিটেশন সেই লিমিটেশনকে জয় করতে হলে আমাদের আন্তরিক হতে হবে। বর্তমানে চসিক, সিডিএ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে যে সহযোগিতার মনোভাব আছে তা নিয়ে আমরা চট্টগ্রামের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চাই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলীতে নিখোঁজ দুই তরুণের মরদেহ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধট্রাকচাপায় ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু