চট্টগ্রাম পতেঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে নারী খুন হওয়ার ঘটনায় জড়িত মূল হোতাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভিকটিমের দেবর মোঃ রনি (২৮) ও সোলাইমান (৪৮)। সোমবার (২১ জুলাই) থানা সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, মামলা রুজুর পর থেকে একটানা অভিযান করে গতকাল চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানাধীন চড়িহালদা মোড় থেকে ঘটনার সাথে জড়িত ঘটনার মূল হোতা এজাহারনামীয় ১নং আসামি মোঃ রনি ও ৩নং আসামি সোলাইমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মামলার ভিকটিম ফেরদৌসি আক্তার (৩২) চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ভিকটিম তার স্বামী ও সন্তানসহ ধুমপাড়া চড়িহালদার মোড় হামিদ মাঝির বাড়ি আবু বক্করের ঘর ৪০নং ওয়ার্ডে বসবাস করতেন। ভিকটিমের সাথে আসামি মোঃ লোকমান হোসেন (৪৫) এর ২০১৩ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। ভিকটিমের বিয়ে তার স্বামী মোঃ লোকমান হোসেনের সাথে হওয়ায় পরিবারের লোকজন স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়নি। বিবাহের পর হতে বিভিন্নভাবে ভিকটিমের স্বামীসহ স্বামীর নিকটত্মীয়রা ভিকটিমকে হয়রানি করে আসছিল। ভিকটিম ও তার স্বামী লোকমান হোসেন দাম্পত্য জীবনে ১ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানের জনক।
ঘটনার ১ সপ্তাহ আগে ভিকটিম তার স্বামীকে রান্নাঘর মেরামত করার জন্য বললে ভিকটিমের স্বামী তথা আসামি লোকমান ভিকটিমকে মারধর করে। গত ১৩ জুলাই রাত ১১টার দিকে ভিকটিমের দেবর মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোঃ রনি ও তার স্বামী মোঃ লোকমান হোসেন রান্নাঘর মেরামত নিয়ে ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একই রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ভিকটিমকে ঘটনাস্থল মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি আঘাত করে।
মারধরের পর ভিকটিম ফেরদৌসি আক্তারের মৃত্যু নিশ্চিত হলে আসামিরা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোঃ মামুন খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা রুজু করলে পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।