চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা এলাকায় দুইটি শতবর্ষী প্রাচীন পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। একটিতে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নও চলছে। পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আল্লাই ও ৪নং ওয়ার্ডের ছন্দা সিনেমা সংলগ্ন এলাকায় পুকুর দুটি ভরাটের অভিযোগ পেয়ে গতকাল সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এর সত্যতাও পেয়েছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে আল্লাই এলাকার একটি বড় পুকুরের প্রায় অর্ধেক ভরাট করে সরকারি মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এআরএম ইঞ্জিনিয়ারিং। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গিয়ে পুকুরটির দৈর্ঘ্যে ২০০ ফুট, প্রস্থে ১০০ ফুট এবং উচ্চতায় ৭ ফুট মিলে ১ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গফুট ভরাট করার বিষয়টি নিশ্চিত হন। অন্যদিকে ৪নং ওয়ার্ডের ছন্দা সিনেমা সংলগ্ন আরেকটি পুরোনো পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ফাইলিং চালিয়ে যাচ্ছেন মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তি। মোজাম্মেল হক পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের গুয়াতলী গ্রামের নুরুচ্ছফার ছেলে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পুকুরটির দৈর্ঘ্যে ৮০ ফুট, প্রস্থে ৩০ ফুট এবং উচ্চতায় ৫-৬ ফুট মিলে প্রায় ১২-১৩ হাজার বর্গফুট ভরাট করার বিষয়টি নিশ্চিত হন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
পরিদর্শনে নেতৃত্ব দেওয়া পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, পটিয়ার আল্লাই এলাকায় একটি পুকুর ভরাট করে একটি মডেল মসজিদ কাজ চালাচ্ছিল এআরএম ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গফুট পুকুর ভরাট করেছেন। অন্যদিকে মোজাম্মেল হক নামের আরেক ব্যক্তি ছন্দা সিনেমা সংলগ্ন একটি পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। তিনিও প্রায় ১২-১৩ হাজার বর্গফুট পুকুর ভরাট করেছেন। তিনি ওই জায়গা ভরাট অবস্থায় কিনছেন বলে দাবি করলেও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জেনেছি ওই ব্যক্তি পুকুরটি কিনেই ভরাট করেছেন। আমি পরিদর্শন প্রতিবেদন জমা দিব। এরপর এআরএম ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মোজাম্মেল হককে নোটিশ করে শুনানিতে ডাকা হবে।