পটিয়ায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। পরে দুই ডাকাতের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লুট করা বেশ কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পৌর সদরের ৪নং ওয়ার্ডের শেয়ানপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন, উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের থানা মহিরা এলাকার মো. ইমরান হোসেন সাজু (২৪), একই ইউনিয়নের মেহেরআটি এলাকার মো. আলমগীর (৩০), পশ্চিম থানা মহিরা এলাকার মো. শাহজাহান জুয়েল (২৬), কুসুমপুরা নেছার চেয়ারম্যানের বাড়ির মো. মাইনুদ্দিন (২৬) ও একই এলাকার মো. সজীব (২৪), মেহেরআটি এলাকার মেজবাহ উদ্দিন জিসান (২৪), জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল এলাকার সবুজ আলম (৩২), হাবিলা সদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন এলাকার মো. আজাদ (২৭), থানা মহিরা এলাকার মো. বিজয় (২১), পটিয়া পৌরসভার দক্ষিণ গোবিন্দারখিল এলাকার মোহাম্মদ জয় (১৯)। অভিযানকালে অজ্ঞাতনামা আরো ৮/৯ জন ডাকাত দলের সদস্য দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের কাছ থেকে বেশকিছু চাপাতি, টিপ ছুরি, লোহার চাকু, লোহার বাঁকানো দা ও ব্যাটন ও সাবল উদ্ধার করা হয়। এ সময় আসামি আলমগীরের দেখানো ১টি সবুজ রংয়ের রেজিস্ট্রেশনবিহীন পুরাতন সিএনজিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানার উপপরিদর্শক গোলাম সরওয়ার বাদী হয়ে মামলা করেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কে ডাকাতির উদ্দেশ্যে তারা অবস্থান নিয়েছিল। এর আগেও তারা বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করেছে। ডাকাতি করা মালামাল আসামি সবুজ আলম ও আজাদের বাড়ি আছে। এরপর বুধবার পুলিশ আসামি সবুজকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। তার বাড়ির স্টোর রুম থেকে ৪টি স্টিলের তৈরি সিএনজির অটোরিকশার দরজা, ১৮টি কালো ও সিলভার রংয়ের গ্যাস লিফট, ১টি কার্টনে মোড়ানো হালকা ট্রলি ব্যাগ, ১টি মনিটর, স্ক্রু রয়েল প্লাগ, ক্যালাম ৩৫ প্যাকেট, লগো ১ প্যাকেট, একটি লোহার গ্রিল কাটার মেশিন, ১টি সাদা রংয়ের প্যাকেটজাত এসি জব্দ করে পুলিশ। এছাড়াও আসামি আজাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫ বস্তা চাউল, ৩টি খালি গ্যাস সিলিন্ডার, ২টি বাইসাইকেল, ৩টি এ্যালমনিয়াম ফ্রেমের বান্ডিল জব্দ করে পুলিশ।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, এসব ডাকাত সদস্যরা চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়ক, বিভিন্ন বাড়ি, হাসপাতালসহ জনসমাগম স্থলে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে ছিনতাই এবং ডাকাতি করে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাত চক্রটিকে আটক করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। পালিয়ে যাওয়া ও চক্রের অন্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।