পটিয়ায় ট্রাক–সিএনজি টেক্সির মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী–শিশুসহ ৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় মহাসড়ের হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চরকানাই মিলিটারি পুলের দক্ষিণ পাশে হক্কানি পেপার মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বোয়ালখালীগামী বালি বোঝাই ট্রাকের সাথে পটিয়াগামী সিএনজি টেক্সির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় সিএনজি টেক্সিটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনার পর ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের দুই জন পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের মোঃ আলীর মেয়ে রুমি আকতার (৩০) ও একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ফাহিম (৫)। অপর জন সিএনজি চালক মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রকাশ অনলাইন ড্রাইভার (৩৭) এর বাড়ি পার্শ্ববর্তী বোয়ালখালী উপজেলায় বলে জানান স্থানীয় চালকরা। রাত একটায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে এবং প্রশাসনে খবর দেয়। এ সময় সড়কের দুই পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনায় মহিলা ও শিশুসহ সিএনজি টেক্সিচালক ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সিএনজি টেক্সিতে পাঁচজন ছিলেন। এর মধ্যে চারজন মারা যায়। পটিয়া মেডিকেলে দুইজনের লাশ আনা হলেও বাকি দুইজনের লাশ তাদের স্বজনরা নিয়ে গেছেন। আহত আর একজনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর লাশ পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে আসা হয়। গাড়ি দুটি আটক রয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়।
নিহত রুমি আকতার এর প্রতিবেশী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, নিহত রুমি ও আহত অপর যাত্রী কালুঘাট এলাকার মেট শো নামের একটি জুতা কারখানায় কাজ করতেন। তারা কারখানা থেকে ডিউটি শেষে পটিয়ায় বাড়িতে ফিরছিলেন। ফাহিম রুমি আকতারের বোনের ছেলে।
নিহত সিএনজি চালক আনোয়ার হোসেন (৪৫) বোয়ালখালী উপজেলার আহলা দরবার শরীফস্থ শেখ চৌধুরী পাড়ার সোনা মিয়ার পুত্র।