রাউজানের নোয়াপাড়াস্থ বৈশাখী কনভেনশন হলে গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর স্মরণে এশায়াত সেমিনার এবং কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের মহাসচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এশায়াত সেমিনার এবং কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মজিদ, সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মোহাম্মদ বেলায়াত হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ। বক্তব্য রাখেন রাশেদ হায়দার মহিউদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ফয়সাল। সেমিনারে বক্তারা বলেন, পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে (সূরা যুমার: ৯)। জানার জন্য এবং মানার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। ইলম অর্জন যেমন জরুরি সে অনুযায়ী আমল করাও জরুরি। এলমে জাহের যেমন জরুরি তেমনি জ্ঞানের পরিপূর্ণ স্বাদ আহরণের জন্য এলমে বাতেন অপরিহার্য। পৃথিবীতে যারা এই দুই জ্ঞানের গভীরে গিয়ে জীবনের সমৃদ্ধি অর্জন করেছেন তারা একদিকে যেমন কালশ্রেষ্ঠ হয়েছেন অন্যদিকে ইতিহাস খ্যাত হয়েছেন। তেমনি একজন যুগশ্রেষ্ঠ কিংবদন্তী হলেন কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসুল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রাঃ)। এই মহান ব্যক্তিত্ব নিজে যেমন এলমে জাহেরের অফুরন্ত ভান্ডার ছিলেন তেমনি এলমে বাতেনের সুউচ্চ মকামে উপবিষ্ট হয়েছেন। শুধু তাই নয় এলমে জাহের বিতরণের জন্য কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম.এ মাদরাসার বানিয়ে লাসানিতে পরিণত হয়েছেন। উনার সংস্পর্শে এসে কাগতিয়া মাদরাসা আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ, আধুনিক মানের কম্পিউটার ল্যাব, সুবিশাল অবকাঠামো, উন্নত হোস্টেল সুবিধা সর্বোপরি অধ্যক্ষ মহোদয়ের সুদক্ষ পরিচালনায় এ মাদরাসাকে করেছে সবদিক থেকে অনন্য।
সুশিক্ষা প্রসারের জন্য চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে স্থাপন করা হয়েছে কাগতিয়া কামিল এম.এ মাদরাসার মহানগর ক্যাম্পাস। হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) এর রেখে যাওয়া মাদরাসাকে আজ তারই একমাত্র প্রতিনিধি মাননীয় মোর্শেদে আজম (মাঃজিঃআঃ) পরিপূর্ণ আমানতদারীতা এবং আন্তরিকতার সাথে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন প্রতি বছর এ মাদরাসার ঈর্ষণীয় সাফল্য তারই প্রমাণ বহন করে। মিলাদ কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।