দক্ষিণ রাউজানের নোয়াপাড়ায় গতকাল শুক্রবার দিনেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুরে ওই এলাকায় অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। রাত ১০টায়ও এলাকায় পুলিশের অবস্থান ছিল। এলাকায় থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে উত্তেজনার পাশাপাশি আতঙ্কও বিরাজ করছে বলে জানান তারা। এদিন থানা পুলিশকে সহায়তায় জেলা থেকে আনা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। দুটি ট্রাকে আসা পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে ঘটনাস্থলের প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পটিয়াপাড়ার মুখে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযান চালানোর সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসাবে আটক করেছে। এলাকাবাসীর মতে যাদের আটকরা হয়েছে তারা নিরীহ।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপির নেতাকর্মী পরিচয়ে তৎপর বিবদমান দুটি গোষ্ঠীর মুখোমুখি অবস্থান আছে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিশ পাড়া, গুহপাড়া ও আসাদ আলী মাতব্বর পাড়ার মধ্যে। অপর দুটি গ্রুপের অবস্থান পলোয়ান পাড়া ও গরিব উল্লাহ পাড়ার মধ্যে। পুলিশের ধাওয়ায় অস্ত্রধারীরা গ্রামের ভিতর আত্মগোপনে চলে যায়। পুলিশ পাড়ার ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে পথের হাটে অবস্থান করছে। কিন্তু পুলিশ বের হয়ে যাওয়া পর থেমে থেমে গুলি শব্দ শুনছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
উল্লেখ্য, আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে (১৪ নভেম্বর) ওই এলাকায় বিবদমান দুই গ্রুপের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন গ্রামের ১৫/১৬ জন সাধারণ মানুষ। হাতে, পায়ে, পিঠে ছররা গুলিতে আহতদের অনেকেই ব্যবসা বাণিজ্য অথবা চাকুরি শেষে রাতে গ্রামীণ পথ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। আহতদের অনেকে এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলেছেন যারা সংঘাত–সংঘর্ষে লিপ্ত তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় দুই নেতার (গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার) অনুসারী। এলাকায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতেই মূলতঃ দুই গ্রুপ এই সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আলমগীর বলেন, ওসি মীর মাহবুবুল রহমান ঘটনাস্থলে অভিযানে আছেন। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।