চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফগামী সৌদিয়া নৈশ কোচে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে চকরিয়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি তদন্তে নামে র্যাব। এঘটনায় অংশ নেয়া ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে গতকাল রোববার রাত দশটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডাকাতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম আজাদীকে বলেন, ‘আমিও শুনেছি, নৈশ কোচে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তবে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।’ র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের একজন কর্মকর্তা দৈনিক আজাদীকে বলেন, নৈশকোচে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ সোমবার সকাল দশটায় র্যাব কক্সবাজার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
চকরিয়া থানার পুলিশ জানায়, মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী বাসযাত্রী বিল্লাহ হোসেন জনি এজাহারে ওই বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার এঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেন। সেই সন্দেহভাজন তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন গত শনিবার। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. নূরেখোদা সিদ্দিকী সন্দিগ্ধ আসামিদের সাতদিনের রিমাণ্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আসামিরা হলেন লোহাগাড়ার পদুয়া গ্রামের মো. আমির হামজার ছেলে সৌদিয়া বাসচালক মো. কামাল (৬০), কক্সবাজারের ঝিলংজার চাঁন্দেরপাড়ার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সুপারভাইজার শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৮) ও পদুয়া গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে হেলপার সাহাদুল ইসলাম (১৯)।