হিজরী নববর্ষ উদযাপন মঞ্চ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন– পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অবাঞ্ছিত আগ্রাসনের শিকার জাতির ভবিষ্যৎ কিশোর–যুবরা। যা ভবিষ্যত একটি আদর্শিক প্রজন্ম গঠনের অন্তরায়। এদেশে বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষ অত্যন্ত ঘটা করে পালিত হয়। অথচ বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও নীরবে– নিভৃতে চলে যায় মহিমান্বিত হিজরি নববর্ষ দিবসটি। যা খুবই দূঃখজনক বলে মন্তব্য করে বক্তারা আরও বলেন– নৈতিক চরিত্র বিধ্বংসী সংস্কৃতির চর্চা দেশ ও জাতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনে। ইসলামের শাশ্বত আদর্শের চর্চা ও অনুশীলনই একমাত্র তরুণ–যুবসমাজকে এহেন অশুভ পরিণতি থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। আর এক্ষেত্রে হিজরী বর্ষবরণ উৎসব একটি কার্যকর মহৌষধ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে।
হিজরী নববর্ষ উদযাপন মঞ্চের উদ্যোগে গতকাল জুমাবার বিকেল ৩ টায় নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ শহীদ জিয়া স্মৃতি জাদুঘর মেমোরিয়াল হলে অনুষ্ঠিত হিজরি বর্ষবরণ উৎসবে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। হিজরী নববর্ষ উদযাপন মঞ্চের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ছৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছালেহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন– কুতুবদিয়া দরবার শরিফের সাজ্জাদানসীন আল্লামা আবদুল করিম আল কুতুবী। বিশেষ অতিথি ছিলেন– অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন।
আলোচক হিসেবে ছিলেন–অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, আবদুল হালিম দোভাষ, মোহাম্মদ ওসমান খান, উপাধ্যক্ষ মাওলানা জাকের আহমদ সিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ মুছা, মাস্টার মোহাম্মদ আবুল হোসেন।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিনের পরিচালনায় আয়োজনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন–কাজী ইউসুফ আলী চৌধুরী, মাস্টার আনোয়ারুল আজিম, মাওলানা মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দিন তাহেরী, কফিল উদ্দীন রানা, ইলিয়াছ খান ইমু, এডভোকেট মীর ফেরদৌস আলম সেলিম, লায়ন এমরান, মাওলানা আবদুল মালেক আশরাফী, হাফেজ মাওলানা জহুর, আবদুল মালেক রেজভী, আবু ছাদেক ছিটু, আলী আজগর খান, আহমদ রেজা, সাইফুল ইসলাম লিটন, মোহাম্মদ এনাম, রাসেদুল ইসলাম রাসেল,শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফোরকান প্রমুখ।