নেপালের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। ২০২৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুশীলা কার্কি, যিনি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এই ঘটনা শুধু নেপালের রাজনৈতিক ইতিহাসেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার নারী নেতৃত্বের জন্যও একটি মাইলফলক।
সুশীলা কার্কির নিয়োগের পেছনে রয়েছে জেন–জি আন্দোলনকারীদের ভূমিকা। তারা অনলাইনে একটি জরিপের মাধ্যমে তাকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন। এই আন্দোলনটি নেপালে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়, যা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি’র পদত্যাগ এবং সংসদের বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যায়। এই বিক্ষোভে ৭২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে বেশিরভাগই বিক্ষোভকারী। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল ৫ মার্চ ২০২৬ সালের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর, সুশীলা কার্কি তার প্রথম বক্তব্যে বলেছেন, “আমরা একটি নতুন যুগে প্রবেশ করছি, যেখানে দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান হবে।” তিনি তার মন্ত্রিসভায় তিনজন নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন: অর্থমন্ত্রী হিসেবে রামেশ্বর খানাল, শক্তিমন্ত্রী হিসেবে কালমান গুরুঙ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ওম প্রকাশ আর্যাল। এই মন্ত্রিসভা দুর্নীতি বিরোধী এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সুশীলা কার্কির নিয়োগ নেপালের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা। তার নেতৃত্বে দেশটি দুর্নীতি মুক্ত, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল হতে পারে–এমনটাই আশা করছেন নেপালের জনগণ।