নেপালের বিপক্ষে পাঁচ বছরের জয়ের খরা কাটিয়েছে বাংলাদেশ দল আগের ম্যাচে। সেই ম্যাচের মধ্য দিয়ে করোনাকালে ফুটবলে ফিরেছিল লাল-সবুজের দল। কিন্তু প্রথম ম্যাচের সে ছন্দ দ্বিতীয় ম্যাচে ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। তবে কোনো অঘটনও ঘটেনি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার দুই দলের দ্বিতীয় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হলে প্রথম ম্যাচে জয়ের সুবাধে দুই ম্যাচের সিরিজটি জিতেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে হওয়া দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচে গত শুক্রবার ২-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। গতকাল আগের ম্যাচের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে স্বাগতিক বংলাদেশ। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
গতকালের ম্যাচে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবে স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় তা ভেস্তে যায়। ম্যাচের ২৩ মিনিটে সুমন রেজার শট অল্পের জন্য ক্রসবারে ঘেঁষে চলে গেলে প্রথম সুযোগটা হারায় বাংলাদেশ। ২৭ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনের চমৎকার এক শট নেপালের ডিফেন্ডার আটকে দেন। ৩১ মিনিটে পেনাল্টি বক্সে ডান দিক দিয়ে জীবনের বাড়ানো ক্রসে শট করেন রেজা। তবে নেপালের গোলরক্ষক সেটা সহজেই নিজের আয়ত্বে নিয়ে নিলে আরো একবার ব্যর্থ হতে হয় স্বাগতিকদের। এরপর বাকি সময় ৫ম পৃষ্ঠার ৪র্থ কলাম
চেষ্টা করেও গোল আদায় করতে পারেনি স্বগতিকরা। ফলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ্ব।
বিরতির পর খেলার ৪৭ মিনিটে রহমতের ক্রস থেকে পেনাল্টি বঙের সামান্য ভেতর থেকে নেওয়া মানিক মোল্লার দুর্বল শট সহজেই রুখে দেন নেপালের গোলরক্ষক। ৫৮ মিনিটে জীবনের কাছ থেকে বল পেয়ে মাহবুবুর রহমান সুফিল বাড়িয়েছিলেন ইয়াছিন খানের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ইয়াছিন সেটা ধরতে ব্যর্থ হলে আরো একবার গোল বঞ্চিত হতে হয় জামাল ভূঁইয়াদের। ৬৮ মিনিটে সহজ আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। নেপালের ডিফেন্ডার বিকাশ কাওয়াস থেকে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন জীবন। তবে পেনাল্টি বঙের ভেতরে নিয়ে গিয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ম্যাচের একেবারে ইনজুরি সময়ে অঘটন ঘটে যেতে পারতো। গোল হজম করতে বসেছিল স্বাগতিকরা। সতীর্থের বাড়ানো বলে নবযুগ শ্রেষ্টা দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন। বল রানাকে ফাঁকি দিয়ে দ্বিতীয় পোস্টে লেগে ফিরে এলে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বাংলাদেশ। ফলে বলতে গেলে স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ দুটি দিয়ে দেশের মাটিতে শুধু ফুটবলই ফেরালো না, সেই সাথে কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচের জন্য নিজেদের প্রস্তুতিটাও একরকম সেরে নিল বাংলাদেশ দল। তবে লম্বা বিরতির পর ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে যে চিন্তা ছিল সেটা অনেকটাই কেটে গেছে এই সিরিজের মধ্য দিয়ে।