মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী সংবিধানের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি অবশ্যই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবেই বলে মন্তব্য করে বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য অযৌক্তিক ও কাল্পনিক ইস্যু করে বিএনপি জামাতের ঘোলা পানিতে মাছ ধরার বায়নায় কথিত আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। সংলাপের মুলা ঝুলিয়ে তফসিল বাতিলের কোন সুযোগ অবকাশ নেই।
তাই নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী মহানগর আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে যাতে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় সেই লক্ষ্যে দলের নেতাকর্মীরা কাজ করে যাবে এবং জনগণকে সাথে নিয়ে জননিরাপত্তা ও জানমাল রক্ষায় নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। তিনি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিএনপি মূলত একটি মুণ্ডহীন অরাজনৈতিক দল। কেননা তাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুকম্পায় কারাগারের বাইরে আছেন। এই দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
অস্ত্র মামলা ও মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে তার দীর্ঘ মেয়াদী সাজা হয়েছে। তিনি লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোল টিপে দলকে নির্দেশনা দিলেও দেশে ফেরার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই।
তাই নেতৃত্বহীন এই দলটি নির্বাচনে যাবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই নির্বাচন বানচাল করার জন্য ইসরায়েলি কায়দায় অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা ও সম্পদহানির পাঁয়তারা শুরু করলেও তারা কখনো সফল হবে না। এটা জেনেই দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিদেশি প্রভুর পায়ে মাথা ঠেকছে। তিনি নাশকতা ও অরাজকতা বিরোধী নগরীর ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নেতাকর্মীদের সাথে অবস্থান এবং এতে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করার নিদের্শনা দেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী, মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবেই। এতে কোনো দ্বিধা বা সংশয়ের অবকাশ নেই। এই নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরের আওতাধীন ৩টি ও আংশিক ৩টি আসনসহ ৬টি আসনে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন তার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আবদুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ এমপি, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবু তাহের, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহর লাল হাজারী, আবুল মনছুর, সৈয়দ আমিনুল হক, গাজী শফিউল আজিম, বখতেয়ার উদ্দীন খান, গোলাম মো. চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, আহামদ ইলিয়াছ, আবদুল লতিফ টিপু, হাজী রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।