রাউজান উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে আনন্দ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা নিজেদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়নের ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
দীর্ঘ বছর ধরে বাড়িছাড়া থাকা, বুকে চেপে রাখা বেদনার স্মৃতি। কেউ কেউ বলছেন, মৃত মা–বাবার মুখ শেষবারের মতো দেখার জন্য বাড়িতে আসার সুযোগ হয়নি। জানিয়েছেন, কীভাবে মাঠ–ঘাটে কাজে থাকা অবস্থায় পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে ভাঙা অস্ত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল খাটিয়েছেন। সবার অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকে ব্যবহার করে তাদের নির্যাতন করেছেন। বক্তারা চোখের জলে স্মরণ করেন রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতা নুরুল আলম নুরুকে। তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হাত–পা বেঁধে খুন করা হয়েছিল। বক্তারা এসব অভিযোগের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, রাউজানের মানুষকে জিম্মি করে রাখা সন্ত্রাসীরা ভোল পাল্টে বিজয়ের জনস্রোতে মিশে বিএনপির বিরুদ্ধে বদনাম রটাতে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, মন্দিরে হামলার চেষ্টা করতে পারে। এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের সংখ্যালঘুদের পাশে থেকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার সদরে ও নোয়াপাড়া পথের হাটে বিএনপির দুটি আনন্দ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। নোয়াপাড়া পথের হাটে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা শামশুল হক বাবু। ইউছুপ তালুকদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ আহমদ। বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান আবুল বশর, আজিজুল হক, একরাম মিয়া, সরফত উল্লাহ বাবুল, মাসুদ আলম, জানে আলম, মোজাহেদুল আলম, সেলিম উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ তৈয়বুল ইসলাম প্রমুখ।