নিষিদ্ধ শারক্বীয়ার ৩ সদস্য গ্রেপ্তার : পুলিশ

| মঙ্গলবার , ১৪ মে, ২০২৪ at ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পাঠানো এক বার্তায় ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেল এ তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় এবং কখন, কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে কিছু বলা হয়নি বার্তায়। তবে দাবি করা হয়েছে, তারা পার্বত্য জেলায় সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সমপ্রতি পাহাড়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত, ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে সংগঠনটির কয়েক ডজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথাও জানানো হয়েছে। পাহাড়ে ভ্রমণে সতর্ক করা হয়েছে পর্যটকদের।

প্রায় দেড় বছর আগে জঙ্গিবাদ দমনে গঠিত বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর প্রধান আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, নিষিদ্ধ জঙ্গি দল হরকাতুল জিহাদ (হুজিবি), আনসার আল ইসলাম ও জামায়াতুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) সদস্যরা মিলে নতুন একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীতে কাতারবদ্ধ হয়েছে। তারাই ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য। গড়ে ওঠার পর কেএনএফ বা বম পার্টির সহায়তায় পাহাড়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ পায় শারক্বীয়ার সদস্যরা এমনই বলেছিলেন আসাদুজ্জামান।

প্রায় একই সময় র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কেএনএফের প্রতিষ্ঠাতা নাথান বমের সঙ্গে ২০২১ সালে শারক্বীয়ার আমিরের একটি সমঝোতা হয়, যার অধীনে পার্বত্য অঞ্চলে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাদের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী মাসে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি কেএনএফ সদস্যদের খাবার খরচ বহন করত শারক্বীয়া। এরই মধ্যে র‌্যাব ও সিটিটিসি পার্বত্য এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে শারক্বীয়ার শীর্ষ নেতাসহ বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার করেছে।

ঢাকার ডেমরা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ শারক্বীয়ার ‘প্রতিষ্ঠাতা’ শামিন মাহফুজ ও তার স্ত্রীকে ২০২৩ সালের ২৩ জুন গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। ২২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের এক ‘সদস্য’ নিহত হওয়ার খবর দেয় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরআইএসপিআর। এর আগে ৮ এপ্রিল রুমা থেকে কেএনএফের দুই সদস্যসহ ৫৪ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপ্তাই সড়কের চুয়েট অংশে বসানো হলো ডিভাইডার
পরবর্তী নিবন্ধবাইক চুরি চট্টগ্রামে, বিক্রি কক্সবাজারে