চট্টগ্রাম কাস্টমসে আগামী সোমবার (৮ জুলাই) থেকে তিনদিনব্যাপী আপেল–কমলা–মেন্ডারিন ও খেজুরের প্রকাশ্য নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। নিলাম উপলক্ষে নগরীর ফলমণ্ডিসহ দুই কিলোমিটার এলাকায় মাইকিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আগামী সোমবার প্রকাশ্য নিলামে তোলা হচ্ছে ৪১ লাখ ২০ হাজার ৯০৭ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন আপেল, ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৪ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন কমলা, ৪১ লাখ ২০ হাজার ৯০৭ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন আপেল, ৪০ লাখ ৭৬ হাজার ১৫৪ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন কমলা এবং ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৬ টাকা সাড়ে ৪৭ টন আপেল। এছাড়া তারপরদিন মঙ্গলবার ৮০ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯০ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪৬ টন মেন্ডারিন, ৪১ লাখ ২০ হাজার ৯০৭ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন আপেল, ১ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ১৬৫ টাকা মূল্যের সাড়ে ৮৭ টন মেন্ডারিন, ৪১ লাখ ২০ হাজার ৯০৭ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন আপেল এবং ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ২৯২ টাকা মূল্যের প্রায় ২২ টন মেন্ডারিন। অন্যদিকে মঙ্গলবার নিলামে তোলা হবে ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮৭ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪৫ টন মেন্ডারিন, ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৪ টাকা মূল্যের প্রায় ২৫ টন কমলা, ৪১ লাখ ২০ হাজার ৯০৭ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন আপেল, ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৬ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪৭ টন আপেল এবং ১ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার ৯২৪ টাকা মূল্যের ২৫ টন খেঁজুর। জানা গেছে, পচনশীল পণ্যের দ্রুত নিলাম আয়োজনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থায়ী আদেশ জারি করে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে সেই আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে বিগত সময়ে অনেক খাদ্যপণ্য পচে যাওয়ায় তা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব পাওয়া দূরে থাক, উল্টো পণ্য ধ্বংসে অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফাইজুর রহমান জানান, আমরা পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলাম সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।