চট্টগ্রাম বন্দরে কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা কোটি কোটি টাকার মূল্যের বিলাসবহুল ১০৮ গাড়ির নিলাম পূর্ববর্তী পরিদর্শন আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে। নিলামে অংশ নিতে ইচ্ছুক যে কেউ চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ থেকে প্রবেশ অনুমতি নিয়ে এসব গাড়ি পরিদর্শন করতে পারবেন। পরিদর্শন চলবে আগামী ৯ জুন পর্যন্ত। কাস্টমসের নিলাম সূত্রে জানা গেছে, পরিদর্শন শেষে নিলামে তোলা ১০৮ গাড়ি কেনার জন্য বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) আগামী ১২ ও ১৩ জুন ই–অকশনে (অনলাইন নিলাম) ও ম্যানুয়াল নিলামে দরপত্র জমা দিতে পারবেন। এরপর দরপত্র খোলা হবে ১৯ জুন। বিলাসবহুল ১০৮ গাড়ির মধ্যে রয়েছে জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তৈরি বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, মিতসুবিশি, টয়োটা ও লেক্সাস জিপ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার মো. আল আমিন আজাদীকে বলেন, নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ৫ জুন থেকে ৯ জুন পর্যন্ত নিলামে তোলা ১০৮ গাড়ির পরিদর্শন করতে পারবেন বিডাররা। যারাই এসব গাড়ি দেখতে চাইবেন, আমরা তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, কার্নেট সুবিধার গাড়িগুলো প্রায় ১০–১৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা পড়ে আছে। ইনভেন্ট্রি করে ২০১৬ সালের আগস্টে ৮৫টি, ২০১৭ সালের মে মাসে ১১৩টি, ২০১৮ সালের মে মাসে ১১১টি গাড়ি এবং ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল চতুর্থবার ২২টি গাড়ি তোলা হয়। কিন্তু প্রতিবারই দামে অসামঞ্জস্য থাকায় দরদাতাদের কাছে গাড়ি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ গত বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর ই–অকশন ও ম্যানুয়াল নিলামে ১১২টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়। এর মধ্যে ১১০টি গাড়িতে দরপত্র জমা দেন বিডাররা। জমা দেয়া দরপত্র ও অন্যান্য শর্ত যাচাই করে মাত্র ৩টি গাড়ি বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কার্নেট সুবিধায় গাড়ি আমদানির সুবিধা দেয়া হয়। তবে নির্দিষ্ট সময় পর আবার সেগুলো ফিরিয়ে নিতে হয়। বাংলাদেশে যারা শুল্কমুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে এসব গাড়ি এনেছেন তাদের বেশিরভাগই প্রবাসী বাংলাদেশি, যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের অনেকেই এসব গাড়ি কার্নেট সুবিধায় এনে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব গাড়ি আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হলে পরবর্তিতে আমদানিকারকরা গাড়িগুলো খালাস করেননি।












