নির্মোহ সৈয়দ আশরাফ

| বৃহস্পতিবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

৩ জানুয়ারি এক সময়ের দুঃসময়ের কাণ্ডারী আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। সৈয়দ আশরাফ পেছনে ফেলে গেছেন তার বিশাল কর্মময় জীবন, শোকের সাগরে ভাসিয়ে গেছে অগণিত ভক্ত, সহযোদ্ধা, সুহৃদ আর সহকর্মীকে। ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনে বিচক্ষণতা, সততা ও আদর্শবাদিতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন সৈয়দ আশরাফ। দেশের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই একজন ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছেও সমীহ পেতেন তার সততা, নিষ্ঠা ও আদর্শবাদিতার জন্য। রাজনীতিতে সৈয়দ আশরাফ ছিলেন একজন স্বচ্ছ স্নিগ্ধজন মৃদুভাষী যুক্তিশীল আর স্থির চিন্তার মানুষ হওয়ায় তিনি দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। মেধাবী ছাত্র সৈয়দ আশরাফ স্কুল জীবন থেকেই জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনবদ্য ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন। তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল আকাশ ছোঁয়া। ভোটের রাজনীতিতে তিনি সত্যিই হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক চরিত্র। সংসদে বা সংসদের বাইরে তিনি যখন কথা বলতেন, তখন সুনির্দিষ্ট ইস্যুতে তথ্য-উপাত্ত করে কথা বলতেন কখনোই বিতর্কিত বা এমন কোনো কথা বলতেন না যাতে অন্য কেউ দুঃখ পান। সততা, নিষ্ঠা, দেশ প্রেম, কর্তব্যপরায়ণতা ও মানবসেবায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা তাঁকে জাতির হৃদয়ে চির অমর করে রাখবে। তাঁর প্রয়াণদিনে তাঁর প্রতি রইলো অশেষ শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।
এম. এ. গফুর, বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়,
কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমারাত্মক বায়ু দূষণ
পরবর্তী নিবন্ধআমরা নাস্তা খাই যেভাবে