ফটিকছড়ির নানুপুরে সংযোগ সড়ক ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজ। নির্মাণের প্রায় ১ বছর পরেও মাটি ভরাট না করা এবং সংযোগ সড়ক সংস্কার না হওয়াতে বর্তমানে ব্রিজটি কোনো কাজে আসছে না। ব্রিজ থাকার পরেও এ সড়ক দিয়ে গাড়ি ছাড়া পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থী সহ প্রায় ৪ হাজার যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে উপজেলার নানুপুরে সেতু কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পে তিন ঘরিয়া পাড়া খালের উপর ৭.৯৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজটি নির্মাণ কার্যাদেশ ছিল ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬০ টাকা। তবে ব্রিজটি করার সময় কোনো সংযোগ সড়ক ছিল না। পরবর্তীতে উপজেলাওয়ারী কাবিখা, কাবিটা ১ম ও ২য় পর্যায়ে নতুন বাড়ি সড়ক ভাঙন রোধে পুকুরে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে পরবর্তীতে পুকুরের পাড় দিয়ে ছোট মাটির ৪–৫ ফুটের সড়ক নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংযোগ সড়ক করার আগেই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। পুকুরের পাড় দিয়ে যে সড়ক করা হয়েছে তা ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এ সড়ক থেকে ব্রিজ ৪–৫ ফুট উঁচুতে। মাটির বস্তা দিয়ে বানানো সিঁড়ি দিয়ে ওঠে ব্রিজটি পায়ে হেটে পার হতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার মানুষকে।
স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে। পায়ে হেঁটে সিঁড়ি বেয়ে ওটা–নামা করে ব্রিজ পার হতে হয়। ব্রিজটি হলেও এর দুপাশে মাটি ভরাট করা হয়নি এবং রাস্তাটিও সংস্কার হয়নি। পানি থাকলে যাতায়াত বন্ধ থাকে এ সড়ক দিয়ে।
স্থানীয় আব্দুর রহিম বলেন, দীর্ঘদিন পর আমাদের এলাকায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও ব্রিজের পাশে মাটি না থাকায় এবং সংযোগ সড়ক ঠিক না থাকায় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এদিকে কোন গাড়ি চলাচল করে না। বস্তা দিয়ে বানানো সিঁড়ি বেয়ে ওটা–নামা নাম করতে হয়। শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, আমরা ব্রিজ দিয়ে অনেক কষ্টে ওটা–নামা করে স্কুলে যাই। ব্রিজের পাশে পানি থাকলে তখন স্কুলেও যেতে পারি না, ঘরে থাকি।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু নাসের বলেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফে যাতায়াতের জন্য বিকল্প সড়ক করার জন্য এ এলাকায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিকল্প সড়কটি ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে। এছাড়াও জলাবদ্ধতার কারণে নির্মিত ব্রিজের পাশে মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। আগামী ১০–১৫ দিনের মধ্যে মাটি ভরাট করা হবে। বিকল্প সড়ক এবং ব্রিজের পাশে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হলে অসংখ্য পরিবার এবং হাজার হাজার মানুষের উপকারী ভূমিকা রাখবে এ সড়ক ও ব্রিজ।












