আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে চন্দনাইশের সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তপশিলে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নাম ছিল। ৫ জানুয়ারি ২০২২ সালের এ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত রবিবার রাতে চন্দনাইশের সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন সহ ৮ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকেও সাতবাড়িয়ায় নির্বাচন গ্রহণের জন্য রিটার্নিং অফিসার নিয়োগসহ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়।
এদিকে, সাতবাড়িয়ায় নির্বাচন না হওয়ার খবর গতকাল এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। আশাহত হন সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের শত শত ভোটার। এই ইউনিয়নে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১১ সালে। এদিকে দীর্ঘদিন পর সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার খবরে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না। চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইচ্ছুক অসংখ্য প্রার্থী ইতিমধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ডা. আরিফ উদ্দিন জানান, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইচ্ছুক চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২ জনসহ মোট ৯৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ১১ মে দোহাজারী ইউনিয়নকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয় এবং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডকে দোহাজারী পৌরসভায় যুক্ত করা হয়। অথচ পৌরসভা গঠনের ৪ বছর অতিবাহিত হলেও সীমানা নির্ধারণ করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, দোহাজারী পৌরসভার সাথে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ২টি ওয়ার্ড যুক্ত করায় সাতবাড়িয়ার জনৈক ১ ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট পিটিশন মামলা দায়ের করেন। ফলে সীমানা ও আইনি জটিলতায় নির্বাচন হচ্ছে না সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে। একই সাথে দোহাজারী পৌরসভার নির্বাচনও বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে ৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচন থেকে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে বলে জানান চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম।
