নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র দৃশ্যমান : সালাহউদ্দিন

| বুধবার , ১ অক্টোবর, ২০২৫ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

দেশের মানুষকে ‘নির্বাচনমুখী’ দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এতে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। এছাড়া গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ ‘ষড়যন্ত্র করছে এবং সেটা দৃশ্যমান’ বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এ কাজে দেশিবিদেশি শক্তির সক্রিয়তা অনুমান করা যায় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের সকল জনগণ এখন নির্বাচনমুখী, বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের আমেজ চলছে, আবহাওয়া চলছে। সকল প্রার্থীরা, সম্ভাব্য প্রার্থীরা এবং জনগণ ভোটে জনসংযোগে আছে। এই অবস্থায় কোনো দল যদি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করে, জনগণ তাদেরকে চিহ্নিত করবে এবং রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে প্রত্যাখান করার সম্ভাবনা আছে। খবর বিডিনিউজের।

নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে ‘দেশের ভেতরে ও বাইরের ষড়যন্ত্র চলছে’ বলে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া কী জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই যে নির্বাচনের প্রক্রিয়া তাতে বাধা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে সেটা দৃশ্যমান। এখানে আন্তর্জাতিক মহলও থাকতে পারে, দেশিবিদেশি শক্তি সক্রিয় সেটা আমরা অনুমান করতে পারি। তার কথায়, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এখন ‘ঐক্যবদ্ধ’। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ ‘সংকল্পবদ্ধ’। এ দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যারাই বাধা সৃষ্টি করবে এবং কোনো রকমের ষড়যন্ত্র করবে সেটা দেশি হোক, বিদেশি হোক তাদেরকে তারা প্রতিহত করবে।

ভোটে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পিআর পদ্ধতি হচ্ছে, একটা পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস পদ্ধতি। যার মধ্য দিয়ে দেশে এবং বিভিন্ন দেশে এটা দেখা গেছে যে, একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে সব সময়ের জন্য। কোন স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না সুষ্ঠ প্রক্রিয়ায়, কখনো মেজরিটির ভিত্তিতে সরকার গঠন করা সম্ভব হয় না, একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট থাকে, অস্থির অবস্থা থাকে। বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির একটা জরিপে দেখলাম যে, ৫৬% মানুষ পিআর পদ্ধতির বিরুদ্ধে। কোন একটা জরিপে দেখলাম, কোন একটা দল বলছে যে, ৭০% পিআর চায়। যদি ৫৬% লোক পিআর পদ্ধতি নাই বুঝে তাহলে ৭০% লোক কীভাবে পিআর পদ্ধতি চায় সেটা আমাদের বুঝে আসে না।

তিনি বলেন, আমরা পিআর মানে মনে করি পাবলিক রিলেশন, আমরা পিআর মানে মনে করি, জনসংযোগ। সবাই জনসংযোগে আছে সেই পিআর এ আমরা বিশ্বাস করি। যারা প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন মানে পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা সফল হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅক্টোবর সেবা মাস আজ থেকে শুরু
পরবর্তী নিবন্ধবিনামূল্যে টিকা নিয়ে টাইফয়েড রোগ প্রতিরোধ করুন : মেয়র