নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে আছি : বললেন জি এম কাদের

| রবিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ প্রশ্নে দলের অবস্থান এবার স্পষ্ট করলেন সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। জানিয়েছেন, তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে আছেন। যদি ভিন্ন চিন্তা করেন, তাহলে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। নির্বাচন সঠিকভাবে হতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

গতকাল দুপুরে দলের চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে নিজের লেখা ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র সোনার পাথরবাটি দ্বিতীয় খণ্ড’ ও ‘মিসেরিজ অব মিসকনসিভড ডেমোক্রেসি ভলিউমটু’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের। গত কদিন ধরেই নির্বাচনে নিয়ে জাতীয় পার্টির অবস্থান প্রশ্নে নানা আলোচনা চলছে। গত ২ নভেম্বর ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠকের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয় যে জাতীয় পার্টি ভোটে আসছে। সেই বৈঠকে আলোচনায় জি এম কাদেরই এমন কথা বলেছেন বলে দলীয় চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মাসরুর মওলার বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ হয়। তবে দুদিন পর দলের চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সংবাদটিকে ‘অসত্য’ দাবি করে তা সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

এর পরদিন দেলোয়ার জালালী বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানান, তার নেতা বলেছেন, আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গেই আছি। কী হবে তা এখনো কেউ জানে না, যদি নির্বাচন হয় তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঘোষণা না দিয়ে চলে যাব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে আছি, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র নেই’ এমন অভিযোগ তুলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পের উদাহরণ দেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, বিবিসির দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, চার হাজার কোটি টাকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বছরে আয় করছে একশ কোটি টাকা। ১৫ বছর হচ্ছে এটার লাইফ। এটা কি বাস্তবসম্মত হলো? তাহলে আবার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট২ প্রকল্পের জন্য চুক্তি কেন? প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নামে ‘দুর্নীতির সম্ভাব্যতা’ যাচাই করা হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেখানে বেশি দুর্নীতি করা যায়, সেই প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন হয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়েও ‘কথা আছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলারে। অথচ একই কোম্পানির ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপনে ইতোমধ্যেই খরচ হয়েছে নাকি ১৬ বিলিয়ন ডলার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেমির আশা জিইয়ে রাখল পাকিস্তান
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে, সংবিধানে কোথাও লেখা নেই