বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী ও পুঁইছড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকের হোসেন চৌধুরী বাচ্চুর নির্বাচনী প্রচারণার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা আলোচিত। এবার ছড়াল বাহারছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের বক্তব্য। গত ২ জুন বাহারছড়ার বড়শিদিঘির পাড় এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে’ মর্মে তাঁর বক্তব্য হিসেবে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ভিডিওটি ১২ সেকেন্ডের।
তাজুল ইসলাম বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। তিনি বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষণ, শ্রম যেখানে জাতির জনকের জন্য, সেখানে কীভাবে জাতির জনকের খুনিদের শ্রদ্ধা জানাব? এটা আমার মুখ দিয়ে বের হওয়ার আগে আমার মৃত্যু হবে। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে বেকায়দায় ফেলতে এ রিউমার ছড়াচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আলম বলেন, মুজিবুল হক চৌধুরী ও জাকের হোসেন চৌধুরী বাচ্চুর ছড়িয়ে পড়া দুটি ভিডিওর বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে আগামী ১৫ জুন। সরল ও কাথরিয়া ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ১২টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। দলের নির্দেশনা না মেনে বাঁশখালীতে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ গত ৩১ মে ১৫ জনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেছেন, দলের কার্যকরী সংসদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নৌকার বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হবে।