গৃহযুদ্ধের মধ্যে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ঘোষিত জাতীয় নির্বাচনের পরিকল্পনাকে ঘিরে সহিংসতা তীব্র হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিদ্রোহী বহু বাহিনী একইসঙ্গে সরকার ও নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। এ পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষ আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার চেষ্টা করছে। খবর বিডিনিউজের।
বিশ্লেষক, বিদ্রোহী ও কূটনীতিকসহ আট ব্যক্তি জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করার অবস্থা তৈরি হয়েছে। নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা জেনারেলরা আরেকটি নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে বৈধতা অর্জনের উদ্যোগ নিয়েছে। গত দুই মাস ধরে জান্তা সরকার প্রতিবেশীদের কাছে চলতি বছর একটি নির্বাচন করার পরিকল্পনা তুলে ধরে আসছে। তারা ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার জন্য আদমশুমারি করে ফলাফল প্রকাশ করেছে আর ভোটের জন্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কাজ করছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছে। তাদের এসব পদক্ষেপে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টিকে মিয়ানমারের জান্তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। কিন্তু গৃহযুদ্ধের এমন এক সময়ে তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে যখন সামরিক বাহিনী দেশজুড়ে নিয়মিতভাবেই একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু দেশটির বহু বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু পরীক্ষিত, সামরিকপন্থি দলগুলোকেই ভোটে অংশ গ্রহণ করতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দেশব্যাপী নয়, জান্তা ভোটের আয়োজন করতে পারবে শুধু দেশের প্রায় অর্ধেক অংশে। তাদের এসব উদ্যোগ ইতোমধ্যেই সমালোচকদের উপহাসের উপলক্ষ্য হয়েছে, তারা নির্বাচনকে ধাপ্পাবাজি বলে অভিহিত করেছে।