নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসীতে গাজী টায়ারস কারখানায় হামলা–লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিখোঁজদের তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি তালিকা তৈরি করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রোববার দিনভর লুটপাটের পর রাতে আগুন দেওয়া গাজী টায়ারসের কারখানার সামনে সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের খোঁজ পেতে আহাজারি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে নিখোঁজদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর জমা দিতে দেখা যায়। সোমবার বিকাল ৩টায় প্রায় পৌনে ২০০ নিখোঁজের নাম জানান স্বজনরা। কিন্তু বিকালে এ ধরনের তালিকা করার দায়িত্ব ফায়ার সার্ভিসের নয় বলে জানানো হয়। তখন থেকে আর কোনো নিখোঁজের নাম দিতে পারেননি স্বজনরা। যদিও সারারাত নিখোঁজের অনেক স্বজন কারখানার সামনে ছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক কারখানাটি পরিদর্শনে গেলে সাংবাদিকরা নিখোঁজের তালিকার বিষয়টি জানতে চান। তখন জেলা প্রশাসক এ ধরনের একটি তালিকা করার কথা বলেন। পরে দুপুর থেকে নিখোঁজদের তালিকা শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তারা ১২৬ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের স্নাতকের ছাত্রী মাহিমা মীর রিপা।
কারখানা ভবনে আবার আগুন : দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টার চেষ্টায় গাজী টায়ারস কারখানার ছয়তলা ভবনটিতে আগুন নেভানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও আবারও সেখানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। রোববার দিনভর লুটপাটের পর রাতে কারখানাটিতে দেওয়া আগুন গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে নেভানোর কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। কিন্তু অতিরিক্ত তাপে বিকাল থেকে ছয়তলা ভবনটির কোথাও কোথাও আবার আগুন জ্বলতে শুরু করে। ধীরে ধীরে তা বাড়ছিল।
ফায়ার সার্ভিসের উপ–সহকারী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ভবনটির ভেতরে কয়েকটি স্থানে এখনও আগুন জ্বলছে। আমরা তা নেভাতে কাজ করছি। আগুন নেভানোর আগ পর্যন্ত ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দলের একজন প্রকৌশলী জানিয়েছেন, আজ বুধবার তারা আবার এসে কারখানা ভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করবেন।