যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক নগরীর মিডটাউন ম্যানহাটনের একটি আকাশচুম্বী ভবনে এক বন্দুকধারী গুলি করে চারজনকে হত্যা করেছে। নিহত চারজনের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন, যার বাড়ি বাংলাদেশে।
৩৬ বছর বয়সী দিদারুল ইসলাম সাড়ে তিন বছর ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে (এনওয়াইপিডি) কাজ করে আসছিলেন। নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস টিশ জানিয়েছেন, দিদারুল ইসলামের স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে, আরেকটি সন্তান আসছে। খবর বিডিনিউজের।
গত সোমবারের এই ঘটনায় অস্ত্রধারী যুবক চারজনকে হত্যার পর আত্মহত্যা করে। ওই ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) সদরদপ্তর এবং ব্ল্যাকস্টোনসহ বেশ কয়েকটি বিনিয়োগকারী কোম্পানির দপ্তর আছে।
সিএনএন লিখেছে, ঘটনার সময় দিদারুল ডিউটিতে ছিলেন না। নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস সোমবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দিদারুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হয়ে এসে নিউ ইয়র্কে থিতু হয়েছিলেন । তিনি তার বাবা–মার একমাত্র সন্তান।
ঘটনার পর দিদারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা যাদের সঙ্গেই কথা বলেছি, তারা সবাই বলেছেন, তিনি (দিদার) ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ, যিনি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতেন এবং চেষ্টা করতেন খোদাভক্ত একজন মানুষের মত জীবনযাপন করতে।
আর পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস টিশ বলেছেন, যা করার কথা, তিনি তাই করছিলেন। নিজের জীবন ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছেন, চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করেছেন। ঠাণ্ডা মাথায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার পরনে ছিল সেই পোশাক, যা শহরের প্রতি তার অঙ্গীকারের প্রতিনিধিত্ব করছিল। যেভাবে তিনি জীবন কাটিয়েছেন, সেভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন–একজন নায়ক হিসেবে।
জেসিকা টিশ জানিয়েছেন, বন্দুকধারী লাগ ভেগাসে থাকতেন। কিছুদিন ধরে তিনি নিউ ইয়র্কে এসে থাকছিলেন। হত্যাকাণ্ড চালানোর পর তিনি নিজের বুকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। বন্দুকধারী একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেন সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার সম্ভাব্য কারণ বের করতে তদন্ত চলছে।