নগরীর নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় অভিযান ও জরিমানাতেও থামছে না কালো ধোঁয়ার আগ্রাসন। নাসিরাবাদের আকাশজুড়ে ভাসে কালো মেঘের ভেলা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার বেশিরভাগ স্টিল মিলের কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। অনেক সময় কারখানার ধোঁয়ায় আশেপাশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অভিযোগ রয়েছে, নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার স্টিল কারখানাগুলোতে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এপিসি) থাকলেও খরচ বাঁচাতে বেশিরভাগ সময়ে অনেকে এপিসি কার্যকর রাখেন না। অনেকে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি অকার্যকর করে খোলা আকাশে অপরিশোধিত কালো ধোঁয়া ছেড়ে দিয়ে পরিবেশ দূষণ করে চলেছে।
সরেজমিনে নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অনেক কারখানায় কালো ধোঁয়া খোলা আকাশে কুন্ডলি পাকিয়ে মেঘে পরিণত হচ্ছে। কয়েকটি রোলিং কারখানার চুল্লির পাশাপাশি উন্মুক্তভাবেও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে নাসিরাবাদের আকাশে। স্টিল মিলের নির্গত কালো ধোঁয়া নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে দূষণ করে চলেছে। এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে দায়ী কারখানাগুলোকে জরিমানাও করেছে। কিন্তুও তাতেও থামছে না কালো ধোঁয়ার দূষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, কলকারখানার ধোঁয়ার কারণে বাতাসে এসপিএম (সাসপেন্ডেড পার্টিকুলেট ম্যাটার) ২০০ পিপিএম মাত্রার অধিক হলে পরিবেশ আইন ভঙ্গ হয়। তিনি বলেন, করোনাকালের মধ্যেও নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে কালো ধোঁয়া খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে কয়েকটি স্টিল মিলকে মোটা অংকের জরিমানাও করা হয়েছে। এখন নতুন করে তারা কালো ধোঁয়া ছেড়ে পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করলে আমরা আবারো অভিযান চালাবো। পরিবেশ দূষণের প্রমাণ পেলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।