বাঁশখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাহারুল্লাহ পাড়ার প্রধান সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে মায়ের দোয়া ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি বেকারির ভেতর থেকে কর্মচারী শাহ আলমকে (৩৫) রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শুক্রবার ভোরে। বেকারির অন্যান্য কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত শাহ আলমের স্ত্রী রুবি আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গতকাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি পলাতক অপর বেকারি কর্মী মাহাবুবুর রহমানকে (৩০) বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুবুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে বলে– দীর্ঘদিন ধরে মায়ের দোয়া ফুড প্রোডাক্টস নামক বেকারিতে চাকরি করছে সে ও শাহ আলম। সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন নারীও। তাদের একজনের সঙ্গে শাহ আলমের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় যার প্রতি আগে থেকে দুর্বল ছিল মাহাবুব। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয় এবং শাহ আলমকে একাধিকবার সাবধানও করে দেয় মাহাবুব। সর্বশেষ একদিন আগে (২২ ফেব্রুয়ারি) দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি ও মারামারি হয়। এর জের ধরে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শুক্রবার ফজরের নামাজের সময় বেকারিতে ঢুকে শাহ আলমকে ঘুমন্ত অবস্থায় গাছের গুঁড়ি দিয়ে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে মাহাবুব।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, ঘটনার সময় বেকারিতে অন্যান্য কর্মচারীরাও ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন তাকে দেখে ফেললে মাহাবুব তাদেরকে কাউকে বললে হত্যার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, বেকারি কর্মচারীর হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে আলামত ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ঘটনার মূল হোতা মাহাবুবুর রহমানকে গণ্ডামারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলে জানান তিনি।