ক্রিকেটে পথচলার শুরু থেকে ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় সুনিল নারাইনের পরিচয় ছিল বোলার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে ‘রহস্য স্পিনার।’ পরে অবশ্য ব্যাটিংয়ে উন্নতি করে অলরাউন্ডার হয়ে উঠেছেন। তবে তার বোলিং সত্তা্ল্লই সবসময় বেশি মুখ্য। টি–টোয়েন্টি ইতিহাসের তৃতীয় সফলতম বোলার বলে কথা। এই সংস্করণে ৫৩৮ উইকেট শিকারি সেই ক্রিকেটারই এখন বলেছন ক্রিকেট ইজ অল অ্যাবাউট ব্যাটিং। এমন এক দিনে কথাটি বলেছেন নারাইন, যেদিন তার মুখে তা মানিয়ে যায় দারুণভাবে। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলিং গুঁড়িয়ে সাতটি করে চার ও ছক্কায় খেলেছেন ৩৯ বলে ৮৫ রানের ইনিংস! তার ৫০১ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। এই ম্যাচে আগে ১৪ বার ফিফটি ছুঁয়ে তার সর্বোচ্চ ছিল ৭৯। বিসাখাপাত্মামে এদিন নারাইনের বিধ্বংসী ইনিংসের পর আঙ্কৃশ রাঘুভানসির ২৭ বলে ৫৪ ও আন্দ্রে রাসেলের ১৮ বলে ৪১ রানের ইনিংসে কলকাতা নাইট রাইডার্স তোলে ২০ ওভারে ২৭২ রান। পরে ম্যাচটি তারা জিতে নেয় ১০৬ রানে। পরে বল হাতে চার ওভারে ২৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন নারাইন। ম্যাচ সেরা হয়ে এই ক্যারিবিয়ান বললেন, ব্যাটিংয়ের সাফল্যই তাকে বেশি তৃপ্তি দেয়।
তিনি বলেন আমার মনে হয়, ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং। ব্যাট হাতে তাই আরও বেশি অবদান রাখতে চাই। যে দিন এটা করতে পারি, তৃপ্তিটা বেশিই হয় বোলিংয়ের চেয়ে। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই বোলিং এখনও উপভোগ করি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে কলকাতা অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার মজা করে বলেন, দলের ব্যাটিং মিটিংয়ে কখনোই দেখা যায় না নারাইনকে। অধিনায়কের সেই কথা তাকে শোনালেন ধারাভাষ্যকার ও সঞ্চালক হার্শা ভোগলে। নারাইন উত্তর দিলেন মজার সুরেই। একটা নিয়ম আমি মেনে চলি, যত কম জানা যায়, আমার জন্য ততই ভালো। আইপিএলের আগে এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি নারাইন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে চার ম্যাচে ওপেন করে তার মোট রান ছিল ৩৬। এরপর আইপিএলেও কলকাতার প্রথম মাচে ওপেন করে আউট হন দুই রানে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই চেনা আগ্রাসী চেহারায় ফেরেন।