নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন এলাকায় মেসার্স খাজা ভান্ডারের চালের গুদামে এনএসআই চট্টগ্রাম মেট্রো শাখার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও পাহাড়তলী থানা পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে চালের গুদামটিতে অভিযান চালানোর জন্য গেলেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেউ উপস্থিত না থাকায় গুদামটি পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়। পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে সবার উপস্থিতিতে গুদামটিতে অভিযান চালানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটি খাদ্য অধিদপ্তরের মোটা চাল সংগ্রহ করে রাখে। পরে সেগুলো নিজেদের ইচ্ছেমতো মেশিনে চিকন চালে রূপান্তর করা হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটিতে ধরা পড়েছে এমন জালিয়াতি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান, সহকারী পরিচালক রানা দেব নাথ। মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তার মোটা চাল নিজস্ব গুদামে মেশিনের সাহায্যে চিকন চালে রূপান্তর করে বিভিন্ন ব্রান্ডের বস্তায় বাজারজাত করছে। পাশাপাশি নামিদামি মেসার্স আশুগঞ্জ ট্রেডার্স, তীর মার্কা সুপার চাল, প্রজাপতি মার্কা, নুরজাহান ব্রান্ড, চিংড়ি মাছ মার্কা, আপেল ব্রান্ডসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে চাল বস্তায় ভরে বিক্রি ও গুদামজাত করে আসছিলো প্রতিষ্ঠানটি। সেইসঙ্গে চালের বস্তায় ওজনেও কম পাওয়া গেছে।
একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেসার্স খাজা ভান্ডারের প্রোপ্রাইটর মো. শাহাবুদ্দিনকে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও মালিকপক্ষকে মৌখিক সতর্কতাসহ লিখিত কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দেয়া হয় এবং বিভিন্ন ব্রান্ডে মোড়কজাতকৃত বস্তা কেটে বাজারজাতকরণের অনুপযোগী করা হয়।