যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আটকে পড়া ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে সীতাকুণ্ডের একজন ও সন্দ্বীপের দুজন নাবিক আটকা পড়েছেন। এদের মধ্যে চিফ ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুকের বাড়ি সন্দ্বীপের সন্তোষপুরে। তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। অন্য একজন জাহাজের নাবিক হুসাইন আহমেদ রাকিব। তার বাড়ি সন্দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মুসলিম মুন্সির বাড়ি। রাকিব পরিবার নিয়ে নগরীর হালিশহর এ ব্লকে থাকেন। অপরদিকে জাহাজটির চতুর্থ ইঞ্জিনিয়ার (মেরিন) সীতাকুণ্ডের ছেলে সালমান সরোয়ার সামি (২৬)। তিনি সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাহফুজুল হকের ছেলে।
নাবিক হুসাইন আহমেদ রাকিবের আত্মীয় হাসান আল নাহিয়ান জানান, তিন ভাই-বোনের মধ্যে রাকিব সবার ছোট। গত ১৬ জানুয়ারি রাকিব চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে সাইন ইন করেন। রাকিবের পিতা মোহাম্মদ আলী খোকন জানান, ২ মার্চ সন্ধ্যায় রাকিবের সাথে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল। তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেন যেভাবে হোক তার ছেলেসহ জাহাজের ক্রুদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।
জাহাজটির চতুর্থ ইঞ্জিনিয়ার (মেরিন) সালমান সরোয়ার সামির মা ভাটিয়ারী টিএসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা ছেমন আরা বেগম। তিনি জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সালমান চতুর্থ ইঞ্জিনিয়ার (মেরিন) হিসাবে বাংলার সমৃদ্ধিতে যোগ দেন। বুধবার রাত ১০টায় ছেলের সঙ্গে সবশেষ কথা হয় তার। এ সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জাহাজটির তৃতীয় ইঞ্জিনিয়ার মারা গেলেও বাকিরা অক্ষত আছেন বলে মোবাইলে সালমান মাকে জানান। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কথা বলার সুযোগ হয়নি।
ছেমন আরা বেগম বলেন, আমার ছেলের মত মোট ২৮ জন বাংলাদেশি ইউক্রেনের বন্দরে বাংলার সমৃদ্ধিতে আটকা পড়েছেন। অজানা উদ্বেগ ও আশঙ্কায় আমাদের বিনিদ্র রাত কাটছে।
রকেট হামলায় এক ইঞ্জিনিয়ার মারা যাওয়ার পর বাকি ২৮ জন চরম অনিশ্চয়তা এবং শংকার মধ্যে দিনতিপাত করছেন। সামির পরিবারের পক্ষ থেকে নাবিকদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুতি জানানো হয়েছে।