নাগালের বাইরে কোরবানীর পশু: সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে

এম নাজমুল ইসলাম | মঙ্গলবার , ২৭ জুন, ২০২৩ at ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ

সরকারের প্রতি অনুরোধ: সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ভারত এবং নেপালের বর্ডার সাময়িকভাবে খুলে দেন। প্রান্তিক কৃষকদের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে সে মহৎ উদ্যোগ কে ধ্বংশ করেছে কোটিপতি মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীরা। বড় বড় শিল্পদ্যোক্তারা গরু ব্যবসাকে আধুনিকতার নামে উচ্চবিত্তের শৌখিনতাতে পরিনত করেছেন। কোরবানির ঈদেক সামনে রেখে রোজার ঈদের মত খেজুর পেঁয়াজ তেল চিনি ব্যবসার মত এটাকেও তারা হঠাৎ বড় লোক হওয়ার হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। ফলে সরকারের সদিচ্ছা থাকার পরেও দেশীয় জাতের গরু উৎপাদনে গ্রামের প্রান্তিক চাষিরা উৎসাহিত বা লাভবান হচ্ছে না।

তৃণভোজী একটি প্রাণীকে উন্নত খাবারের নামে এসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ফসফেট খাইয়ে মাংসাশী প্রাণীর সমমূল্য করে ফেলা হয়েছে। মাংসের নামে কি খাওয়ানো হচ্ছে দেশের মানুষকে? কোনো উন্নত দেশে খাবারের সাথে এর ১%ও যদি এ বিষ মেশানো হত তাহলে ১০০/১৫০ বছরেরও উপর

জেল হত। বাংলাদেশ বলে আপনারা আজ পার পেয়ে যাচ্ছেন। আপনার মহান রবের দরবারে সেদিন কী জবাব দিবেন? পৃথিবীর কোনো দেশেই বিষ খাওয়ানো এই উচ্চ বিলাসী দামে গরু বিক্রি হয় না। কেন ৫০ হাজারের একটা গরু সিন্ডিকেট করে ২ লাখ টাকার উপরে? ৪০ হাজারের গরু ১.৫ লাখ? এ সিন্ডিকেট এখনই ভাঙতে হবে। এভাবেতো একটা দেশ চলতে পারে না। বাণিজ্যমন্ত্রী মহোদয় আপনি এ যুগের অযোগ্যমেয়াদহীন একজন মন্ত্রীপরিষদ সদস্য।

এবার অন্তত দেশের মানুষকে বাঁচান। কর কার্যালয়গুলোর প্রতিও অনুরোধ তাদের করের আওতায় আনার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসন্ন কোরবানির বর্জ্যগুলো পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্ত রাখুন
পরবর্তী নিবন্ধসৃষ্টি সুখের উল্লাস